এই খেলারই কথা বলছিলেন মমতা? মালদায় প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় প্রশ্ন বিজেপির

স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, গোপালবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ব্যক্তিহত্যার রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, খেলা হবে বলে কি এই খেলারই কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

মালদা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে গুলিবিদ্ধ গোপালবাবুর।

মালদার বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। এমনটাই দাবি বিজেপির। দলের একাধিক নেতার তরফে এই দাবি করা হয়েছে। তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা নিয়ে এখনো কোনও মন্তব্য করেননি জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। 

রবিবার সন্ধ্যায় পুরাতন মালদার সাহাপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কিছুদূর এগোতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ২ দুষ্কৃতী। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পালায় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। 

স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, গোপালবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পরাজয় নিশ্চিত জেনে ব্যক্তিহত্যার রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, খেলা হবে বলে কি এই খেলারই কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ঘটনার প্রতিবাদে আগামিকাল মালদা জেলা স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

বিজেপি নেত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘটনায় স্পষ্ট রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন তলানিতে পৌঁছেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় বড় কথা যে ভাঁওতা তা আজ মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল। ভর সন্ধ্যায় বিরোধী প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চলছে, ভাবা যায়?’

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালদার তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজারে দলীয় প্রার্থী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরা সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে জানি না। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’