তৃতীয় দফার বোট মিটেছে। কিন্তু অভিযোগের পাহাড় থামছে না। এবার বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের ক্লাবগুলিতে দুষ্কৃতীদের ডেরা তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগ করলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের দফতরে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তিনি। যা নির্বাচনের আগে জোর চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে শ্রাবন্তীর এই অভিযোগপত্র প্রকাশ্যে চলে আসায় লড়াই জমে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই তা জানানো হয়েছে কমিশনকে। তার জেরে অভিনেত্রীর ওপর চটেছে বেহালা পশ্চিমের ক্লাবগুলি। তারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন শ্রাবন্তী? চিঠিতে শ্রাবন্তী লিখেছেন, ‘স্থানীয় বেহালার ক্লাবগুলিকে সন্ত্রাস কায়েম করতে কাজে লাগানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এমনকী এখানে দুর্বৃত্তদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নির্বাচনের সময় গণ্ডগোল পাকাতে পারে।’ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্লাব–কর্তা বলেছেন, অযথা রাজনীতির রং লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া এমন অভিযোগ করা ঠিক নয়। এতে সাধারণ মানুষ ও ক্লাবের সদস্যরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যার জবাব কিন্তু ভোটবাক্সে পড়বে।
অভিনেত্রী প্রার্থীর এমন চিঠি দেওয়াকে সমর্থন করেছেন দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর সিকদার। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই কাজ তো নতুন কিছু নয়। বছরে দু’বার ক্লাবগুলিকে তৃণমূল সরকার টাকা দেয়। যুবকদের চাকরি না দিয়ে ক্লাবগুলিকে টাকা দিয়ে নানা কাজ করিয়ে থাকে। আর ভোটের সময় গুন্ডাদের ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আমি আমাদের প্রার্থীর অভিযোগ পূর্ণ সমর্থন করছি।’
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থবাবুর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট অঞ্জন দাস বলেন, ‘এমন অভিযোগ যাঁরা করছেন তাঁরা বেহালাকে ভাল করে চেনেন না। কারণ, একসময় বেহালায় মস্তানদের জব্দ করতে ক্লাব সংগঠনগুলিই রাস্তায় নেমেছিল। নির্বাচনের আগেই হারের কারণ সাজিয়ে রাখছেন বিজেপি প্রার্থী।’