শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁস হওয়া অডিয়ো টেপ নিয়ে তৎপর হল কমিশন। ওই টেপের ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাইল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। গত সপ্তাহে ওই অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে আনেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তার পর থেকে নতুন মাত্রা পেয়েছে শীতলকুচি বিতর্ক।
রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে টেপের কথোপকথনের প্রতিপাদ্য বিষয় জানতে চেয়েছে কমিশন। কী ভাবে কথোপকথন তাদের হাতে এসেছে তাও জানাতে বলা হয়েছে। কী ভাবে ওই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে সম্ভব হলে তাও জানতে চেয়েছে কমিশন।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত ওই অডিয়ো টেপে শীতলকুচি গুলিচালনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে নির্দেশ দিতে শোনা যায়। পার্থপ্রতিমবাবুকে তিনি বলেন, মৃতদেহগুলি যেন পরিবারের লোক হাসপাতাল থেকে না নেয়। সেগুলি নিয়ে পরদিন মিছিল হবে। সঙ্গে তিনি বলেন, আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা দায়ের করতে হবে। এমন করে মামলা করতে হবে যেন SP ও IC ফাঁসে। মৃতের পরিবার যেন পুলিশের কাছে কোনও বয়ান না দেয়। তারা কী অভিযোগ করবে তা ভোটের পর আমি বলে দেব।
ওই অডিয়ো টেপ নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি ও তৃণমূল দুপক্ষই। বিজেপির দাবি, ওই টেপে স্পষ্ট শীলতকুচির ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে আগুন জ্বালাতে চেয়েছিলেন মমতা। ওই টেপ তৃণমূলের তরফেই ফাঁস হয়েছে বলে দাবি তাদের।
পালটা তৃণমূলের দাবি, বিজেপিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে আড়ি পেতেছে। যা ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী।