হিমাচল প্রদেশের মেয়ে কঙ্গনা রানাওয়াত। ছোট থেকেই পাহাড়ের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। এখন অবশ্য মুম্বইয়ের বাসিন্দা নায়িকা। যদিও গ্রামের বাড়ির দিনগুলোর কথা ভোলেননি তিনি। করবা চৌথের আগেই স্মৃতিমেদুর নায়িকা। শেয়ার করলেন হিমাচল প্রদেশে তাঁর গ্রামের বাড়ির গল্প। পাশাপাশি এদিন যারা উপোস করেছেন, তাঁদের নিয়ে হাসাহাসি করতে মানা করলেন বলি কুইন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমার বেশ মনে আছে ঠাকুমা, মা এবং কাকিমা-সহ আশেপাশের অন্য মহিলারা করবা চৌথে উপোস করতেন.. হাতে মেহেন্দি লাগাতেন, নখে নেল পলিশ পরতেন, বধূবেশে সেজে নাচগান করতেন। তাঁদের দেখে বাড়ির পুরুষেরা হাসাহাসি করতেন। স্বামীকে ভগবান মেনে পুজো, নানা রকমের হাসিঠাট্টা হত পরিবারে। করবা চৌথের দিন রান্নাঘরে প্রবেশ করতেন না মহিলারা। তাই অন্যদেরও উপোস করে থাকতে হত। পারিবারিক বিভেদ এই দিনে মুছে যেত। কিন্তু পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের টান হত গভীর। আমার দিনগুলোর কথা বেশ মনে আছে। যারা উপোস করতেন তাদের সবাইকে করবা চৌথের শুভেচ্ছা জানানো হত। যাঁরা বিশ্বাস করেন না অনুগ্রহ করছি, অন্তত ঠাট্টা করবেন না'।
কেন তিনি এই উৎসব পছন্দ করেন, সে সম্পর্কে কঙ্গনা আরও কয়েকটি কারণ বলেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘করবা চৌথ সম্পর্কে প্রশংসা করার মতো অনেক কিছু আছে, এখানে আমার পছন্দের কয়েকটি জিনিস হল.. ১) একজন মহিলা হিসাবে আপনার বয়স যাই হোক না কেন আপনি যখন কনে হয়েছিলেন তখন আপনি আপনার সবচেয়ে বিশেষ দিনটিকে পুনরায় উপভোগ করার সুযোগ পান.... এটি প্রতিদিনের কাজের একঘেয়েমি ভেঙে দেয় এবং আপনাকে ছোটবেলায় আপনার সমস্ত কোমল আবেগ মনে করিয়ে দেয়। মেয়ে হিসেবে তুমি যখন এই সুন্দর যাত্রা শুরু করেছিলে…. ২) বছরের পর বছর আপনদের যত ঝগড়া হোক না কেন, যদি সে সত্যিই আর না থাকে তবে এই চিন্তাগুলো যখন আপনি কারও জন্য প্রার্থনা করেন… ৩) মহিলারা সেই দিন কাজ করে না। সেদিন পুরুষরা তাদের সমস্ত কিছুর লড়াই বোঝে, তাদের জায়গা বোঝে এবং তারা প্রতিদিন যা করে তার মূল্য দেয় ..’।
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘৪)যখন মহিলারা চাঁদ দেখেন বেশিরভাগ পুরুষরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন.. দেখেছি আমার বাড়ির পুরুষেরা চাপ বোধ করতেন। বাড়ির বারান্দায় অথবা ছাদে দৌড়ে যেতেন চাঁদ দেখতে। চাঁদের প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান প্রকাশ করতেন। এই ছোট উৎসবগুলি একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং সমবেদনা জাগানোর জন্য তৈরি করা হয়। ৫) শেষটা হল আমরা স্কুলে ছুটি পেতাম না। লিপস্টিক এবং নেইল পলিশ পরতাম এবং বাবার হাতের রান্নাও উপভোগ করেছি। সেদিন তিনি বাড়ির মহিলাদের জন্য অনেক রান্না করতেন। বাড়ির কাজ নিয়ে সেদিন কারও অত মাথাব্যথা ছিলনা। নস্টালজিয়া ভরা দিন ছিল’।
কঙ্গনা হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার বাসিন্দা। সেখান থেকে প্রায়শই ছবি এবং গল্প শেয়ার করে থাকেন তিনি। তাকে শেষ দেখা গেছে থালাইভিতে। অভিনেত্রীর আসন্ন ছবি ধাকড়। তাঁর নিজের প্রযোজনার কয়েকটি ছবি ছাড়াও তেজস-এ দেখা যাবে অভিনেত্রীকে।