সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মুম্বই পুলিশের আত্মহত্যা তত্ত্বকেই মান্যতা দিয়েছে এইমসের বিশেষজ্ঞ দল। তাতে রীতিমতো স্বস্তির হাওয়া মুম্বই পুলিশের অন্দরে। বিশেষত গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে পুলিশকে নিশানা করা হচ্ছিল, তাতে বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরেছে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শনিবার পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং জানান, মুম্বই পুলিশের উপর যে অহেতুক সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছিল, তা এইমসের রিপোর্টে ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গত ১৪ জুন সুশান্তের দেহ উদ্ধারের পর মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। যদিও মুম্বই পুলিশের সেই দাবি নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ। সেই শ্রেণির তরফে অভিযোগ করা হয়, প্রভাবশালী শ্রেণিকে বাঁচানোর জন্য মুম্বই পুলিশ তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছে। রীতিমতো ভিলেন হয়ে ওঠে মুম্বই পুলিশ।তারইমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে সুশান্ত মামলার তদন্তভার যাওয়ার পর এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের সাহায্য চাওয়া হয়।
শনিবার এইমসের বিশেষজ্ঞ দলের রিপোর্ট সামনে আসে। এইমসের ফরেন্সিক দলের প্রধান সুধীর গুপ্ত বলেন, 'আমাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। এটা ফাঁস দেওয়ার ঘটনা এবং আত্মহত্যার জেরে মৃত্যু হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'ফাঁস ছাড়া সুশান্তের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতের শরীর এবং পোশাকে লড়াই বা ধস্তাধস্তির কোনও নির্দশন নেই।'
সেই খবর সামনে আসার পর মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, তদন্তের বিষয়ে কোনও ধারণা না থাকা সত্ত্বেও ‘নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য’ নিয়ে কয়েকজন পুলিশকে নিশানা করছিল। তিনি বলেন, 'আমাদের তদন্তের বিষয়ে কোনও কিছু না জেনেই এবং আমাদের রিপোর্ট না দেখেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কয়েকজন আমাদের তদন্তের সমালোচনা করছিল।'
পুলিশ কমিশনার দাবি করেন, মুম্বই পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। কুপার হাসপাতালের (সেখানে সুশান্তের অটোপসি হয়েছিল) চিকিৎসরাও উপযুক্ত কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এইমসের যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে আমরা সন্দেহমুক্ত হয়েছি।’ একইসঙ্গে পুলিশ কমিশনার বলেন, 'আমাদের তদন্তে কোনও খুঁত পায়নি (সুপ্রিম) কোর্ট।'