সালটা ২০১৭, 'অস্ট্রেলিয়া'তে 'অপারেশন অগ্নিপথ'-এর শ্যুটিং করতে গিয়ে সহ প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে শাকিব খানের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের শাকিবের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছিলেন অপর এক প্রযোজক রহমত উল্লাহ। জনপ্রিয় তারকা শাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় বাংলাদেশে হইচই পড়ে যায়। শাকিবের থেকে ১০০ কোটির ক্ষতিপূর্ণ চেয়েছিলেন বাংলাদেশের ওই প্রযোজক।
এই ১০০ কোটির ক্ষতিপূরণের মামলায় ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শাকিব খানের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে জানা যাচ্ছে, শাকিব নাকি অসুস্থ, সেজন্য নাকি তিনি আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। এবিষয়ে অভিনেতার আইনজীবী জানান, গত ৩ অক্টোবর থেকে জ্বরে কাবু শাকিব খান। আর সেকারণেই শাকিব আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। তবে এরপরে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদনও করেছেন শাকিব। আদালত অভিনেতার আবেদন মঞ্জুর করেছে। এই মামলায় আদালতে পরবর্তী সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৫ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন-শ্বেতার পায়ে পড়তেও রাজি, তবু ছেলেকে আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয় না: অভিনব
আরও পড়ুন-অভিনয়, ফুটবল নাকি সিনেমা বানাতে চায় তৃষাণজিৎ! ছেলেকে নিয়ে কী বললেন 'বুম্বাদা'?
বাংলাদেশে শিল্পী ও চলচ্চিত্র সমিতির কাছে শাকিব খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন অভিযোগকারী প্রযোজক রহমত উল্লাহ। সেখানে তিনি ২০১৭ সালে তাঁরই এক সহ মহিলা প্রযোজককে শাকিবের ধর্ষণের অভিযোগ করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতে নালিশ করেন শাকিব খান। আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করে।
এরপর গত ১৮ এপ্রিল শাকিব খানের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে ফের মানহানির মামলা করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এই মামলার তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেসটিগেশনকে নির্দেশ দেয় আদালত।
এরপর গত ২৭ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মানহানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেন শাকিব খান। এই মামলারও তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত।
পালটা পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় গত ৩০ এপ্রিল শাকিব খানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানি স্যুট (অর্থ আদায়ের মোকদ্দমা) মামলা করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি করেন তিনি।