গত কয়েকসপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করছে ‘আয় তবে সহচরী’। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কামব্যাক মেগা ফের ফিরছে ফর্মে। আপাতত ধারাবাহিকে স্বামী-সংসার ছেড়ে বেরিয়ে নিজের নতুন জগত তৈরি করতে মরিয়া সহচরী। কাজ পেয়েছে রেডিও স্টেশনে। কিন্তু ঠিক যেদিন প্রথম রেডিয়ো শো, তার আগেই নেমে আসে আঘাত। দেবিনা পুলিশ পাঠায় বাড়িতে সমরেশকে গ্রেফতার করতে। আর সেই লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে সমরেশ।
বরফি সমরেশকে প্রশ্ন করে, ‘সই মা কাল তো তোর প্রথম শো। অশুর বাবা হাসপাতালে। এবার কী করবি তুই?’ আর তাতে সহচরী জবাব দেয়, সে যাবে রেডিয়োতে শো করতে।
চ্যানেলের তরফে এই প্রোমো সামনে আনতেই বিতর্কের শুরু। যেখানে সহচরীরর এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতার তারিফ হয়েছে, সেখানে কেউ দাবি করেছেন, এই সময় একজন আসল স্ত্রীর উচিত ছিল স্বামীর সাথে থাকা। কেরিয়ার তো পরেও হবে! আপনার কী মত এই ব্যাপারে?
মাঝে ‘আয় তবে সহচরী’ নিয়ে উঠেছিল বড় বিতর্ক। ধারাবাহিকের শুরুটা এক মধ্যবয়সী মহিলার পড়াশোনা, ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে হলেও, কেন তাতে পরকীয়ার ট্র্যাক এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল দর্শক। আর তাতে কনীনিকার জবাব ছিল, দর্শকরা দেখতে ভালোবাসে এইসব তাই আমরা দেখাতে বাধ্য হই। আপনারা এসব দেখা বন্ধ করে দিন। যখনই পড়াশোনা দেখানো হয় টিআরপি নেমে ৩ বা ৪ হয়ে যায়। আর যেই দেবিনা এল ধারাবাহিকে উঠতে শুরু করল টিআরপি। তাই নাকি শুধু ধারাবাহিকের নির্মাতাদের দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই!