সাম্প্রতিককালের বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হিসেবে নাম করে নিয়েছিল ‘মিঠাই’। দীর্ঘ পথ চলার পর সদ্যই শেষ হল সৌমিতৃষা এবং আদৃতের এই ধারাবাহিক। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানো যে নিয়ম। এবারও তার অন্যথা হল না। ‘মিঠাই’য়ের পর তার জায়গায় এসেছে ফুলকি। ‘মিঠাই’য়ের সেট ভেঙে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের এই স্টুডিওতে গড়ে উঠেছে রায়চৌধুরী বাড়ি।
‘ফুলকি’র গল্প আবর্তিত হয় ফুলকির জীবন ঘিরেই। সে বক্সার হতে চায়। এদিকে তাঁর মা অসুস্থ। অন্যদিকে রোহিত রায়চৌধুরী একজন বক্সার ছিলেন। বর্তমানে তিনি অধিকাংশ সময়ই মনমরা হয়ে থাকেন। এখানে ফুলকির চরিত্রে দেখা যাচ্ছে দিব্যানী মণ্ডলকে। আর রোহিতের চরিত্রে আছেন অভিষেক বসু। অর্থাৎ যাঁকে সবাই ছোট পর্দার নেতাজি বলেই চেনেন। এই সিরিয়ালে একটি মজার বিষয় হল অভিজ্ঞ অভিনেতার বিরুদ্ধে নবাগতা দিব্যানীকে দেখা যাচ্ছে। দুজনের বোঝাপড়া কেমন? রসায়ন কতটা জমেছে।
দিব্যানী বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি নিয়ে পড়ছেন। প্রথম বর্ষের ছাত্রী তিনি। একদিকে পড়াশোনা আরেকদিকে কাজ। দুটোকে একসঙ্গে সামলাচ্ছেন কীভাবে? তাঁর কাজের বিষয়ে ফুলকি আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমার মা বাবা সবসময় চাইতেন আমি যেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। কিন্তু আমার ছোট থেকে শখ ছিল অভিনয় করার। আমি এখানে পড়তে আসার পর কিছু মিউজিক ভিডিয়ো শুট করেছিলাম। সেগুলো দেখে আমায় ডেকে পাঠায় চ্যানেল। তারপরই কাজের অফার আসে।' বয়সে ফুলকি এতটাই ছোট সবার থেকে তাই তাঁর যত সখ্য সব তাঁর অনস্ক্রিন বন্ধুদের সঙ্গেই।
অন্যদিকে নিজের চরিত্রের বিষয়ে অভিষেক বলেন, 'আমি খুব রেগে যাই সহজে। কিন্তু জলদি ঠান্ডাও হয়ে যাই। আর রোহিতের একটা অতীত আছে। আর সেই কারণেই ও এত মনমরা।' অন্যদিকে তিনি তাঁর সহকর্মী দিব্যানীর প্রসংশা করে বলেন, 'আমি যতটা পারি ওকে শিখিয়ে দিই বা বুঝিয়ে দিই। নতুন তো সবে কাজ শিখছে। আমরাও এক সময় নতুন ছিলাম। তবে ভালো মেয়ে ভীষণ। কিন্তু আমাদের জুটিকে আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।'