অমিতাভ বচ্চনের পর এবার অনিল কাপুর! বিনা অনুমতিতে ‘জক্কাস’ অনিলের নাম, ছবি ও কন্ঠস্বর ব্যবহার করা যাবে না, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। অভিনেতার আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দিল আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনওরকম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না অনিল কাপুরের ছবি, নাম অথবা কণ্ঠস্বর। আরও পড়ুন-অসুস্থ সন্দীপ রায়, চেন্নাইয়ে আটকে টিম ফেলুদা, থমকে গেল ‘নয়ন রহস্য’র শ্যুটিং
গোপনীয়তার অধিকার বা ‘রাইট টু প্রাইভেসি’ লঙ্ঘন হচ্ছে, এই মর্মে আবেদন জানিয়েছিলে অনিল কাপুর। কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই একাধিক সংস্থা তাঁর ছবি, নাম কিংবা কন্ঠস্বর নকল করে ব্যবহার করছে বাণিজ্যিক স্বার্থে। সেই বেআইনি কাজে ক্ষুব্ধ বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেই নিয়েই আপত্তি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। যা মেনে নিল আদালত। এক বিবৃতিতে ‘পুকার’ অভিনেতা বলেন, ‘আইনজীবী অমিত নায়েক মারফত দিল্লি হাইকোর্টে আমি একটি পিটিশন দাখিল করেছিলাম নিজের নাম, ছবি, পছন্দ, কন্ঠস্বর যাতে ডিজিটাল মিডিয়ায় অপব্যবহার না করা যায়, অতীতে আমি বহুবার এই ধরণের ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, বিস্তারিত শুনানির পর কোর্ট অনিলের 'পার্সোনালিটি রাইটস' কে রক্ষা করতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণের কথা সুনিশ্চিত করেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI, GIF বা কোনও কোনও মাধ্যমেই অনিল কাপুরের কোনও ছবি বা কন্ঠস্বর ব্যবহার করা যাবে না।
যদিও কারুর সৃজনশীলতায় হস্তক্ষেপ করা কিংবা কারুর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই আবেদন নয়, জানিয়েছেন অনিল কাপুর। তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিত্ব আমার সারাজীবনের পুঁজি, আমি অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। আমি এই পার্সোনালিটি রাইটস রক্ষার মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্বকে রক্ষা করতে চাইছি, কারণ টেকনোলজির এই যুগে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো টুলের সাহায্যে কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তা সহজেই লঙ্ঘন করা সম্ভবপর’।
আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, অনিল কাপুরের ব্যক্তিগত তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের উপর এই নিষেধাজ্ঞা শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বের কার্যকর। গত বছরের শেষে একই ধরণের একটি পিটিশন দিল্লি হাইকোর্টে দাখিল করেছিলেন মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। সেইসময় বিগ বি তাঁর নাম, ছবি, কন্ঠস্বর ও ব্যক্তিত্ব কোনওরকম অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের অভিযোগ করেছিলেন। অনিলের মতোই অমিতাভের পক্ষেই রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।