১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সে মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে। পূর্ণ বয়স্ক জীবনে পা রেখে মানুষ বাস্তবের সঙ্গে একটু একটু করতে পরিচিত হতে শেখে। আলাদা কিছু হয়নি অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গেও। ২২ বছর বয়স কেমন ছিল ‘মির্জাপুর’ খ্যাত পঙ্কজ ত্রিপাঠীর! ছিল না নিজের নামে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও! মূল্যবান সম্পত্তি বলতে ছিল ৬০০ টাকার একটা সাইকেল ও একটা গ্যাস সিলিন্ডার। স্মৃতিচারণে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডায় অভিনেতা।
কেরিয়ারের শুরুতে আপনি কোথায় ছিলেন?
আমার কোনো কেরিয়ার ছিল না। শুরুতে আমি নাটক এবং থিয়েটার করতাম। NSD (National School of Drama)তে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পাশাপাশি পাটনার ফুড ক্রাফ্ট ইন্সটিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম।
আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত ছিল?
শূন্য। এমনকি ব্যাঙ্কে আমার একটা অ্যাকাউন্টও ছিল না!
আপনি কাকে ভালবাসতেন?
আমি ভালবাসা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোধ করতাম, কাউকেই খুঁজে পাইনি। মনে মনে গোলাপ ফুল নিয়ে ঘুরতাম। কিন্তু কেউ সেই গোলাপকে গ্রহণ করার মতো ছিল না।
কোথায় সমস্ত কিছু আপনার মিথ্যে মনে হয়েছিল?
আমি কিছু আলাদা করতে চেয়েছিলাম, তবে আমি নিজেও জানতাম না সেটা কী।
সেই সময় আপনার মাথায় কী ঘুরছিল?
অন্যান্য ২২ বছর বয়সীদের মতো আমার চিন্তাভাবনা দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছিল। আমিও সাহিত্য এবং ভ্রমনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম।
পরিবারের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল?
ওঁরা আমার খুব কাছের। আমার বাবুজি ভাবত আমি ডাক্তার হব, তবে আমার বাবা-মা আমার কেরিয়ারে আমার পছন্দ নিয়ে খুব সহযোগি ছিল।
ফিটনেসের জন্য আপনি কী করতেন?
আমি দারুণ অ্যাথলেটিক ছিলাম। আমি স্প্রিন্টার (অল্প দূরত্বে যাঁরা দৌড়ায়) এবং হাই জাম্পে খুব ভালো ছিলাম।
আপনার ফ্যাশন সেন্স কেমন ছিল?
আমি রাস্তার ধারের মার্কেট থেকে জামাকাপড় কেনা পছন্দ করতাম।
সব থেকে বড় স্বপ্ন?
আমি চেয়েছিলাম আমার কৃতিত্বের জন্য সংবাদপত্রে আমার নাম আসুক।
তখনকার এমন কিছু স্মরণীয় জিনিস?
আমি ট্রেনে করে ফিরছিলাম। ট্রেন সোনপুরের পাশ থেকে যাওয়ার সময় যাওয়ার সময় সেখানে একটা ‘পশু মেলা’ হয়। ট্রেন থেকে নেমে আমি পশু মেলায় গিয়েছিলাম। সেই রাতে সেখানে একটি থিয়েটারে যোগ দিয়েছিলাম। সকালে বাড়ি ফিরে আমার বাবা-মা কেও আমি সেই অ্যাডভেঞ্চারের কথা জানাইনি।
আপনার সবে থেকে মূল্যবান সম্পত্তি কী ছিল?
৬০০ টাকার একটি বাইসাইকেল এবং একটি গ্যাল সিলিন্ডার।
যদি আপনি অতীতে নিজের কিছু পরিবর্তন করতে পারতেন সেই জিনিসটি কী হত?
কিছুই না। ২২ বছর বয়সে যে সংকট এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম, সেই জন্য আমি আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি।