আজ আরও একটা ৩০মে। আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে বাংলা চলচ্চিত্র হারিয়েছিল তার ‘হীরের আংটি’। না ফেরার দেশে পারি দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। সত্যজিত পরবর্তী বাংলা চলচ্চিত্রের দুনিয়ার সবচেয়ে চর্চিত পরিচালক,যিনি একার পাল্টে দিয়েছিলেন বাংলা ছবির দশা ও দিশা,তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঋতু আসে,ঋতু যায় কিন্তু বাঙালির মননে,বাঙালির জীবনে ঋতুপর্ণ থেকে যায়।
বন্ধু ঋতুপর্ণ ঘোষের অকাল প্রয়াণ আজও কুঁড়ে কুঁড়ে খায় প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে। ঋতুপর্ণের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করে নিলেন প্রসেনজিত্। এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে ঋতুরর্ণের উদ্দেশে একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন বুম্বাদা। লিখলেন-'আজ ৭ বছর হয়ে গেলো তুই আমাদের ছেড়ে চলে গেছিস। আজও প্রত্যেক মূহুর্তে মনে পড়ে তোকে। কত স্মৃতি, কত না বলা অভিমান, কত অসম্পূর্ণ কাজ।তোর হাত ধরেই তো মানুষ আমায় নতুন করে চিনলো।তুই তো আমার অনিয়মের ঋতু, নিয়মের ঋতু...
যেখানে থাকিস ভালো থাকিস বন্ধু'।
এই চিঠির সঙ্গে ঋতুপর্ণের সঙ্গে কাটানো নানান মুহুর্তের একটি মিউজিক্যাল কোলাজ পোস্ট করেন অভিনেতা। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘তুমি রবে নীরবে’। সত্যি তো নীরবে,নিভৃতে আজও বাঙালির মনে রয়ে গিয়েছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ।
উনেশে এপ্রিলের সুবাদেই বন্ধুত্বটা গাঢ় হয়েছিল প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণ ঘোষের। বাঙালির চেনা পরিচিত সুপারস্টারকে অন্যরকম চরিত্রে খুঁজে পাওয়ার সেই শুরু। সমালোচকদের মতে, অভিনেতা প্রসেনজিতের উত্তরণের যাত্রাপথটা অনেকাংশেই ঋতুপর্ণ কেন্দ্রিক। সেই কথাই আজ ধরা পড়ল প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টেও। উনেশ এপ্রিল পর ঋতুপর্ণ ঘোষের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন বুম্বাদা- উত্সব, চোখের বালি, দোসর, খেলা, সব চরিত্র কাল্পনিক, নৌকাডুবি। বলা যায় চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় একে অপরের 'দোসর' প্রসেনজিত্-ঋতুপর্ণ।
সত্যিতো ঋতু কি হারিয়ে যায়? না ঋতু হারায় না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবল প্রকৃতির রঙ বদলাতে থাকে। ঠিক তেমনভাবেই চলচ্চিত্রের এই ঋতুও অবিনশ্বর।