একসময়ে বলিপাড়ায় অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল জনপ্রিয় পরিচালক মনমোহন দেশাই-এর সঙ্গে অভিনেত্রী নন্দা কর্ণাটকীর সম্পর্ক। তাঁদের বাগদান পর্ব সম্পন্ন হলেও তা বিয়ের আসর পর্যন্ত পৌঁছয়নি। কারণ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও আকস্মিক মৃত্যু হয় 'অমর আকবর অ্যান্টনি' ছবি খ্যাত মনমোহন দেশাই-এর। পরিচালকের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নন্দার ভাই জয়প্রকাশ বিনায়ক তাঁর বোন নন্দা ও মনমোহন দেশাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে ননানান অজানা কথা পেশ করলেন।
সেটা আশির দশকের শেষভাগ। ততদিনে 'ছোটি বহেন', 'ধুল কে ফুল','ভাবি', 'কালা বাজার','কানুন', 'হাম দোনো'-র মতো নানান ছবি করে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকার আসন দখল করে ফেলেছেন নন্দা। ওই সময়েই তিনি মনমোহন দেশাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সম্পর্কে। ১৯৯২ সালে তাঁদের দু'জনের বাগদান পর্বও সম্পন্ন হয়। তবে তা আর বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। কারণ, তার মাত্র বছর দুয়েক পরেই ১৯৯৪ সালের এক সকালে মৃত্যু হয় মনমোহন দেশাইয়ের। জানিয়ে রাখা ভালো, তাঁর মৃত্যুর পর নন্দাও অন্য কারও সঙ্গে ঘর বাঁধেননি। ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন নন্দাও।
পিঙ্কভিলা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নন্দার ভাই জয়প্রকাশ জানান ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে পরিকল্পনা করে মনমোহন দেশাইয়ের প্রথম পক্ষে স্ত্রী জীবনপ্রভাজি ও তাঁদের ছেলে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন। যেখানে নন্দা ও মনমোহন দু'জনেই উপস্থিত ছিলেন। এরপর সেসব চুকলে নন্দা ও মনমোহনকে সেখানে রেখে বাকি সবাই সেখান থেকে উঠে চলে যান। সেই সময়েই নন্দাকে নিজের মনের কথা জানান পরিচালক। বিয়ের প্রস্তাবও দেন।
এরপর সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন নন্দা।বাড়ি ফিরে ভাইয়ের সঙ্গেও সেই বিষয়ে আলোচনা সেরেছিলেন। এরপর দুই পক্ষের পরিবারের তরফেই কথা চলাচলই শুরু হয়। ওয়াহিদা রহমান-ও জড়িয়ে ছিলেন পুরো বিষয়টির সঙ্গে। রীতিমতো জন্যমক করে নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছিলেন নন্দা। তবে মনমোহনের মৃত্যুতে তাঁর সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত পায়নি। নন্দার ভাইয়ের কথায়, 'বাকি জীবনটা একজন সন্ন্যাসিনীর মতোই কাটিয়েছিলেন দিদি। বলেছিলেন মনমোহনজি-কেই মনে মনে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। তাই আমার পক্ষে অন্য কারও সঙ্গে ঘর বাঁধা সম্ভব নয়!'