একরত্তি মেয়ের সঙ্গে প্রথমবার ছবি শেয়ার করলেন আদিত্য নারায়ণ। দিন কয়েক আগেই ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী শ্বেতা আগারওয়াল। গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মেয়ের জন্ম দিয়েছেন তিনি। মেয়ের বাবা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত আদিত্য, জানিয়েছিলেন তাঁর প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন ঈশ্বর।
আদিত্য এবং শ্বেতা একরত্তির নাম রেখেছেন তিশা নারায়ণ ঝা। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ছবিত দেখা যাচ্ছে, বাবা আদিত্যর ঘাড়ে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে একরত্তি। যদিও ছবিতে একরত্তির মুখ দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র মাথা টুকু এবং তোয়ালেতে মোড়া শরীর দেখা গিয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ, ভাগ্যবান, ধন্য! আমার পরীর সঙ্গে আগামী কয়েক সপ্তাহ কাটাতে পারব। শীঘ্রই দেখা হবে ডিজিটাল বিশ্ব (হার্ট ইমোজি পড়ুন)।’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আদিত্য জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের নাম রেখেছেন তিশা নারায়ণ ঝা। তিনি আরও বলেছিলেন মেয়ের নামের অর্থ তার এবং তার বাবা-গায়ক উদিত নারায়ণের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হয়েছে।
নাতনিকে নিয়ে উদিত নারায়ণের কী প্রতিক্রিয়া? আদিত্য জানিয়েছিলেন তাঁর বাবা রীতিমতো ঘোরে রয়েছেন। আনন্দে আত্মহারা উদিত নারায়ণ। শুরুতে তো নাতনিকে কোলে নিতেও ভয় পাচ্ছিলেন, পাছে সে হাত ফসকে পড়ে যায়। সারাদিন ছোট্ট সোনামণির খেয়াল রাখতেই ব্যস্ত উদিত নারায়ণ। পরিবারের সবার মধ্যমণি এখন আদিত্য-শ্বেতার সন্তান।
সদ্য গানের রিয়ালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’ শো ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন আদিত্য। দীর্ঘ ১৫ বছরের যাত্রার ইতি টানেন। বহু বছর ধরে ‘সা রে গা মা পা’ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আদিত্য। প্রখ্যাত গায়ক উদিত নারায়ণের ছেলে হলেও গানের দুনিয়ায় তেমন নাম করতে পারেননি। তবে সঞ্চালক হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ‘সা রে গা মা পা’-এর থেকে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে আদিত্য লিখেছেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে, আমি এমন একটি শো-এর হোস্টিং দায়িত্ব থেকে বিদায় নিচ্ছি, যা আমাকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তোলার সুযোগ দিয়েছে। ১৮ বছর বয়সের যুকক থেকে পুরুষ, একজন সুন্দরী স্ত্রী এবং শিশুকন্যা! ১৫ বছর। ৯টা সিজন। ৩৫০ পর্ব। সময় সত্যিই বয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ নীরজ শর্মা, আমার ভাই। এখনও ভালো কিছু আসা বাকি আছে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১লা ডিসেম্বর ‘শাপিত’ কো-স্টার শ্বেতা আগারওয়ালকে বিয়ে করেন আদিত্য। বিয়ের এক বছর দু-মাসের মধ্যেই মেয়ের বাবা হন তিনি।