ঢাকা-তে কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মিঠাই অভিনেতা সিদ্ধার্থের দিকে?
জি বাংলার ‘করুণাময়ী রাণি রাসমণি’ সিরিয়ালের রানি রাসমণির স্বামী রাজচন্দ্র দাসের চরিত্রে অভিনয় করে বাংলার দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেতা গাজী আবদুন নূর। যদিও পড়শি দেশের ছেলে হয়েও, তিনি এখন ঘরের মানুষ। অভিনেতা আদৃত রায় বাংলাদেশে গিয়ে নূরের থেকেই পেয়েছিলেন বড় সাহায্য।
‘বাড়ি বাংলাদেশে, কিন্তু সবাই ভাবেন আমি কলকাতার অভিনেতা’ শিরোনামে একটি সাক্ষাৎকারের লিঙ্ক নিজের সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নেন নূর। আর তারই কমেন্ট সেকশনে গিয়ে অভিনেতা-বন্ধুর গুণগান করলেন আদৃত। লিখলেন, ‘আমার এখনও সেই দিনটা মনে আছে যেদিন তুমি আমাকে ঢাকার হোটেলে পৌঁছতে সাহায্য করেছিলে। তুমি আমার জন্য একঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেছিলে, যখন এয়ারপোর্টে আমার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তুমি যত ভালো অভিনেতা, ততটাই বড় তোমার হৃদয়। অনেকেরই অনুপ্রেরণা। আরও উপরে ওঠো। তোমার জন্য অনেক ভালোবাসা আর সম্মান।’
পর্দা থেকে অনেকদিন দূরে আছেন আদৃত রায়। সামাজিক মাধ্যমেও সেভাবে দেখা মেলে না তাঁর। মিঠাই সিরিয়াল তাঁকে পৌঁছে দেয় জনপ্রিয়তার শীর্ষে। হিট হয় তাঁর আর সৌমিতৃষার জুটি। আপাতত খবর রয়েছে, বড় পর্দা দিয়ে ডেবিউ করবেন আদৃত। তাও আবার এসভিএফের মতো বড় ব্র্যান্ডের প্রযোজনায়। আরও পড়ুন: লিপলকের কামাল! চুমু খেয়ে অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাজল, কারা দিল?
সম্প্রতিই আদৃতের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। মিঠাই-এর সিডের সঙ্গে চেহারার কোনও মিলই নেই। বড় বড় চুল, এক মুখ দাড়ি। কমলা টি শার্ট পরে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ছোটাছুটি করছেন প্রেমিকার পিছনে। টলিপাড়া বলছে, ‘পাগল প্রেমী’-তে এই লুকেই দেখা যাবে তাঁকে। আরও পড়ুন: ‘তাজমহলে ডিস্কো মিউজিক…!’, পুরনো হিট গানের র্যাপ সংস্করণ, আপত্তি জাভেদ আখতারের
ভাইরাল আদৃতের কমেন্ট।
অন্য দিকে, মুক্তির অপেক্ষায় নূরের বাংলাদেশী সিনেমা ‘অসম্ভব’। অমলেন্দু বিশ্বাস যাকে যাত্রার সম্রাট বলা হয় তার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এর আগে কাজ করেছেন ২০২১ সালে নারগিস আক্তারের পরিচালনায় ‘যৈবতী কন্যার মন’ সিনেমায়। সেটাই ছিল নূরের প্রথম সিনেমা। কাজ করেছেন শাহনেওয়াজ কাকলির পরিচালনায় ‘ফ্রম বাংলাদেশ’ সিনেমায়। এছাড়াও আব্দুস সামাদ খোকনের পরিচালনায় ‘শ্রাবণ জোৎসনায়’য় দেখা যায় তাঁকে। কাজ চলছে ‘ভাষার জন্য মমতাজ ’ সিনেমার। নূর জানান, আপাতত বাংলাদেশে একটু বেশিই কাজ করার চেষ্টা রছেন। যাতে সেদেশের মানুষ তাঁকে চেনেন। নয়তো অনেকেই কলকাতার লোক ভেবে ভুল করেন।