'নাক উঁচু, বড়লোক বাপের মেয়ে', কেরিয়ারের শুরুর দিকে ইন্ডাস্ট্রিতে এমনই ইমেজ ছিল আমিশা প্যাটেলের। আমিশার কথায় লোকজন তাঁকে বদমেজাজি আর অহঙ্কারি ভাবত, কারণ ছবির সেটে তিনি অবসর সময়ে বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে পড়ে থাকতেন।
নামী গুজরাতি পরিবারের মেয়ে আমিশা প্যাটেল বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ২০০০ সালের ব্লকবাস্টার ছবি ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র সঙ্গে, এই ছবিতে আমিশার হিরো ছিল হৃতিক রোশন। এই ছবি রাতিরাতি সুপারস্টার বানিয়েছিল এই নবাগতাকে। সাফল্যের জোয়ারে ভেসেছিলেন হৃতিক-আমিশা। পরবর্তী সময়ে ‘গদর’, ‘হামরাজ’-এর মতো হিট ছবিতে অভিনয় করেন আমিশা। তবে শুরুর দিকে যেমনটা মনে করা হয়েছিল তেমন সাফল্য পাননি অভিনেত্রী। কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছেন তিনি, স্বপ্ন উড়ান মাঝপথেই থমকে গিয়েছে।
পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অমিশা জানান সংবাদমাধ্যমের জন্য কতখানি মুশকিলে কেরিয়ারের শুরুতে পড়েছিলেন তিনি। নায়িকার কথায়, ‘আমাকে দেখানো হয়েছিল একজন অহঙ্কারি, নাক উঁচু মেয়ে হিসাবে, মানে দক্ষিণ মুম্বইয়ের একদম টিপিক্যাল বড়লোক বাপের বিগড়ে যাওয়া সন্তান। কারণ সেটের মধ্যে আমি কোনও গসিপ করতাম না, মানুষজনকে নিয়ে তাঁদের পিছনে আলোচনা করতাম না। অন্য কেউ ভালো কাজ করলে খুশি হতাম, প্রশংসা করতাম’।
হৃতিকের সঙ্গেও তাঁর হামেশা তুলনা টানা হত বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলছি, আমি বইপোকা। সারাদিন সেটে বই পড়তাম। একটা বই আমি তিনদিনে শেষ করে ফেলি। তাই লোকে বলত আমিশা জি খুব অহঙ্কারি। জানি না নিজেকে কোন কেউকেটা মনে করে! যেহেতু বড়লোক বাড়ির মেয়ে তাই দেখো দেখনদারি কত… হৃতিক মারুতিতে এসেছে আর ও এসেছে মার্সিডিজে'। অল্প থেকে অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘কিন্তু সত্যি বলছি ওটা কোনও শো-অফ ছিল না। আমি ওইভাবেই বড় হয়েছি। আমি কোনওদিন কারুর নামে খারাপ কথা বলিনি’।
শীঘ্রই ধামাকা নিয়ে ফিরছেন আমিশা। সানি দেওলের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধে গদরের সিক্যুয়েল নিয়ে হাজির হচ্ছে নায়িকা। সাকিনা আর দ্বারার ছেলে তারা এখন বড় হয়েছে, প্রায় দু-দশক পর কেমন হবে তারার প্রেমের গল্প, সেই কাহিনির অংশীদার কেমনভাবে হয়ে উঠবে তাঁর বাবা-মা- এই সবই উঠে আসবে এই ছবিতে।