টলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অঙ্কুশ হাজরা এবং ঐন্দ্রিলা সেন। কিন্তু সম্প্রতি একটি গুজব শোনা যাচ্ছে যে তাঁদের মধ্যে নাকি ফাটল ধরেছে। এই সম্পর্ক নাকি আর খুব বেশিদিন টিকবে না সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন এই পাওয়ার কাপলকে নিয়ে কেবল একটাই চর্চা, তবে কি ওঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে চলেছেন? গত ১১ ফেব্রুয়ারি অঙ্কুশ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জানান, তাঁদের বিয়ে হচ্ছে না। আর বিয়ে না হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বেড়েছে গুঞ্জন থেকে গুজব। দ্রুত বেগে নানা খবর ছড়িয়ে পড়ছে।
যেখানে মাত্র এক মাস আগেই ইংরেজি নববর্ষ বরণ করলেন তাঁরা একসঙ্গে সেখানে মাস ঘুরতে না ঘুরতেই এমন কথা মানতে পারছেন না অনেকেই। এমনকি টলিউডের তারকারাও নন। তাই তো শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় নিজেই ঐন্দ্রিলাকে একটি ভিডিয়ো করে সোজাসুজি প্রশ্ন করেন, 'তোদের একসঙ্গে কত বছর হল বল তো? তোদের রিলেশনের বয়স ১২ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। অনেকদিন হল, বিয়েটা কবে করছিস?' শ্রাবন্তী যখন তাঁকে এই প্রশ্ন করেন, সেটা শুনে অঙ্কুশের কাছে যান ঐন্দ্রিলা। উত্তরে অভিনেতা তাঁকে বলেন, 'ধুর, সবসময় ভালো লাগে না। সবাই এক প্রশ্ন করছে। কী করে বলি? লজ্জায় কাউকে কিছুই বলতে পারছি না।'
এতটুকুই নয়, নিজের ফ্রাস্ট্রেশন বের করে শ্রাবন্তীর উদ্দেশে তিনি বলেন, 'শ্রাবন্তীর যদি আমার ব্যাচেলর থাকায় এত সমস্যা তাহলে ও আমায় বিয়ে করে নিক। আমার কোনও আপত্তি নেই।' ১২ বছর একসঙ্গে থেকে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার কথা, তাহলে প্রেমিকার সমানে! অঙ্কুশের এমন কথা শুনে রীতিমত ক্ষেপে আগুন হয়ে যান ঐন্দ্রিলা। আর এই গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তাঁরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন।
ভিডিয়ো দেখে এটা স্পষ্ট যে নেহাতই মজার ছলে বানানো হয়েছে এটি। আর সেটা দেখে বেশ মজাই পেয়েছেন তাঁদের অনুরাগীরা। তবে শ্রাবন্তী প্রথম নন যিনি অঙ্কুশকে বিয়ে নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। এর আগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়ও তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন। তবে গোটা বিষয়টা কী সেটা নিয়ে অনেকেই ধন্দে পড়েছেন। এটা কি কোনও বিজ্ঞাপন? নাকি তাঁদের বিয়ের প্রমোশন করছেন? নাকি তাঁদের দুজনের বিয়ে সংক্রান্ত কোনও ছবি আসছে? উত্তরটা এখনও স্পষ্ট নয়।