গত ৮ মার্চ ছোট্ট বংশিকাকে রেখে তারাদের দেশে চলে গিয়েছিলেন সতীশ কৌশিক। তবে কাছের বন্ধু সতীশের ১০ বছরের মেয়ে বংশিকাকে অনুপম খের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি তাঁকে তাঁর বাবার মতোই যত্ন করবেন, বাবার মতোই তাঁর সঙ্গে সময় কাটাবেন, ভালোবাসবেন। প্রায়াত বন্ধু কন্যাকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিই এখন পালন করছেন অভিনেতা অনুপম খের।
সম্প্রতি অনুপম খেরের সঙ্গে মুম্বইয়ের এক নামী রেস্তোরাঁতে নৈশভোজ সারতে গিয়েছিলেন বছর ১০-এর বংশিকা। সেখানে গিয়েই একটি রিল ভিডিয়ো বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন বংশিকা কৌশিক। লিখেছেন, ‘পাপা এবং আমি প্রায়ই প্রাতঃরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজনের জন্য ম্যারিয়টে আসতাম। আমার প্রিয় অনুপম আঙ্কলের সঙ্গে এখন সেউ রুটিনেরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই আমরা একসঙ্গে রিল না বানিয়ে যাই কোথায়! বানাতে পারি না। একমাত্র অনুপম খেরের জন্য বুলেট রইল।’
আরও পড়ুন-হিন্দু পুরোহিতের মুসলিম বোন, গল্পটা কেমন? 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়েও মুখ খুললেন রাহুল
আরও পড়ুন-একসময় বাংলাকেই আঁকড়ে ছিলাম, তবে এখন আর এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভাবি না: প্রসেনজিৎ
অনুপম খেরকে বাবাহারা ছোট্ট বংশিকার পাশে থাকতে দেখে খুশি নেটপাড়ার বাসিন্দারাও। কেউ লিখেছেন, ‘অনুপম স্যার আপনার মতো বন্ধুর তারিফ করতে হয়। জাভেদ আখতার সাহাব ঠিকই বলেছিলাম, যে অনুপমের মতো বন্ধু থাকলে আমিও মরতে দ্বিধা করব না।’ কেউ লিখেছেন, ‘আপনি আপনার কাছের প্রয়াত বন্ধুর পরিবারের পাশে রয়েছেন দেখে ভালো লাগছে।’ কারোর কথায়, ‘ছোট্ট বংশিকাকে সুন্দর জীবন ফিরিয়ে দিতে এটা সত্যিই সুন্দর পদক্ষেপ।’ কেউ লিখেছেন, ‘বংশিকার জন্য শুভামনা রইল, আশারাখি ও বাবার থেকেও বেশি এগিয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, মত্যুর সময় স্ত্রী শশী ও মেয়ে বংশিকাকে রেখে গিয়েছেন সতীশ কৌশিক। প্রসঙ্গত ১৯৮৫ সালে শশীকে বিয়ে করেছিলেন সতীশ কৌশিক। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সতীশ ও শশীর জীবনে এসেছিল পুত্র সন্তান, তবে মাত্র দুই বছর বয়সে মৃত্যু হয় সতীশ-শশীর ছেলে শানুর। সেই ঘটনার পর ভেঙে পড়েছিলেন সতীশ কৌশিক। পরবর্তী সময়ে ১৬ বছর পর, ২০১২ সালে একজন সারোগেট মায়ের মাধ্যমে তাঁর মেয়ে বংশিকার জন্ম হয়। তখন সতীশের বয়স ছিল ৫৬ বছর। মেয়েকে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ছিলেন সতীশ ও শশী। সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর সময় ছোট্ট বংশিকা কৌশিকের বয়স ছিল মাত্র ১০, বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল সে। তবে সতীশ কৌশিকের কাছের বন্ধু অনুপম খের তাঁকে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।