কয়েক সপ্তাহ ধরে অনেকটাই কমে গিয়েছে একসময়ের টানা বেঙ্গল টপার অনুরাগের ছোঁয়ার টিআরপি। গত মাস ছয়েক ধরে সূর্য-দীপা-ই স্টার জলসাকে রেখেছিল একেবারে টপে। কিন্তু বিশ্বকাপ আর দুর্গাপুজোর চক্করে হঠাৎ করে কমে গিয়েছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। চলতি সপ্তাহে রয়েছে চতুর্থ নম্বরে, প্রাপ্ত নম্বর ৭.০। এবারে যেমন বেঙ্গল টপার হয়েছে দুটি ধারাবাহিক। কার কাছে কই মনের কথা ও নিম ফুলের মধু। পেয়েছে ৭.৯ নম্বর।
মাঝে হঠাৎ করেই রটে গিয়েছিল ধারাবাহিকের দুই নায়ক-নায়িকার মধ্যে ঝামেলার কথা। শোনা যেতে শুরু করে, স্বস্তিকা ঘোষ আর দিব্যজ্যোতি দত্ত নাকি একে-অপরকে এড়িয়ে চলছেন। এরপর হঠাৎ সামনে আসে, ইনস্টা থেকে একে-অপরকে আনফলোও করে দিয়েছেন। যদিও কিছুদিন পর ফের ফলো করতে শুরু করেন। তবে আজকাল আবার লোক ভ্রু কোঁচকাচ্ছে অনস্ক্রিন ভাইয়ের বউ উর্মি অর্থাৎ সৌমিলির অফস্ক্রিন বন্ডিং দেখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের রিল দেখলেই মনে আঘাত পাচ্ছে সূর্য-দীপা জুটির ভক্তরা।
এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুরাগের ছোঁয়া-র টিআরপি কমে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন দিব্যজ্যোতি। সোনা-রূপার বাবা জানান, ‘আজ থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে যখন অনুরাগের ছোঁয়া বেঙ্গল টপার ছিল তখন কিন্তু সেটা গোটা ভারতজুড়ে (অল ইন্ডিয়া ভিত্তিক) ছিল। আমি যদিও বিশ্বাস করি, টিআরপি-র ওঠানামা তো থাকবেই। টিআরপি নিয়ে যদি হতাশ হই বা সারাদিন ভাবতে থাকি তাহলে আমার শটই খারাপ হবে। সংলাপ ভুলে যাব।’
দিব্যজ্যোতি আরও বললেন, ‘এই টিআরপি-র ওঠা-পড়া নিয়ে ভাবার জন্য নির্মাতা রয়েছেন। আমার কাছে অভিনয়টাই প্রধান। অনেক মানুষের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা জড়িয়ে আছে এখানে। আমার দাদা লস অ্যঞ্জলসে থাকে। সেখানের একটা বাঙালি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিল। গিয়ে দেখে অনুরাগের ছোঁয়া চলছে। আমাকে ছবি পাঠিয়েছিল। আমি যদি এখন কাজের থেকে ফোকাস সরিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি তবে কাজটা আরও খারাপ হবে। তবে হ্যাঁ, অনুরাগের ছোঁয়াকে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।’
যদিও এখন স্বস্তিকা আর দিব্যজ্যোতির মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। কদিন আগেই যেমন মধ্যরাতে স্বস্তিকাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন দিব্যজ্যোতি। লিখেছিলেন, ‘তোমার ব্যক্তিগত নববর্ষের জন্য উচ্ছ্বাস। জীবনের সব ইচ্ছে আর চাওয়া-পাওয়া পূরণের ৩৬৫ দিনের একটা নতুন জার্নির আজ প্রথম দিন। সবসময় আনন্দে থেকো, যে সফরটা শুরু করেছো সেটা উপভোগ করো। তোমাকে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।’
ঝামেলা প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দিব্যজ্যোতি এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘কোনও ঝগড়া নেই আমাদের। স্বস্তিকার সঙ্গে দিব্যজ্যোতির বন্ধুত্ব সারাজীবন থাকবে। স্বস্তিকাকে প্রশ্ন করলেও ও এই কথাটাই বলবে। একটা ঘরে অনেকগুলো বাসন রাখলে টুংটাং শব্দ তো হবেই। কিন্তু তা বলে কেউ সেই বাসনগুলো ছু়ড়ে ফেলে দেয় না। আমাদের বন্ধুত্বটাও সেইরকমই।’