অহনা আর দীপঙ্করের প্রেমে লাল এখন ইনস্টাগ্রাম। মা-কে নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি বছর ২০-এর নায়িকাকে। কেমন কাটালেন রবিবারের ছুটির দিনটা টলিউডের এই চর্চিত লাভ বার্ডস?
1/6 দিনকয়েক আগেই এক অ্যাওয়ার্ড শো-র পক্ষ থেকে সেরা খলনায়িকার সম্মান জিতে নিয়েছেন অহনা দত্ত। যদিও বেশিরভাগ মানুষ তাঁকে অনুরাগের ছোঁয়ার মিশকা হিসেবেই চেনেন। অভিনেত্রী চর্চায় আছেন তাঁর ব্যক্তিগত সম্পকর্কের খাতিরে। খুব ছোট বয়সেই মায়ের সঙ্গে ডান্স বাংলা ডান্সে এসে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তা। আর তখনই মা-মেয়ের লড়াই দেখেছিল গোটা বাংলা। জেনেছিল, বাবার থেকে আলাদা থাকেন তাঁরা। দাদু-দিদার বাড়িতেই বড় হয়ে উঠেছেন মায়ের সঙ্গে। মেয়েকে বড় করতে মা চাঁদনীদেবীর লড়াই শুনে তখন চোখে জল এসেছিল অনেকেরই।
2/6 আসলে অহনার নতুন প্রেমিক, অনুরাগের ছোঁয়ারই রূপটান শিল্পী দীপঙ্করকে মেনে নেয়নি চাঁদনী। যদিও অহনা আর দীপঙ্করের ভরা সংসার। রবিবারের কিছু ঝলক অভিনেত্রী শেয়ার করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছুটির দিনটা দুই পোষ্যকে নিয়েই কাটিয়েছেন তাঁরা। সারমেয়দের সঙ্গে খেলা করার একটি রিল সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছেন অনন্যা। অভিনেত্রী এর আগে জানিয়েছেন, আসলে দীপঙ্করের এর আগে একটি বিয়ে ছিল। যা ভেঙে যায়। আর একজন ডিভোর্সির সঙ্গে তাঁর মেয়ের সম্পর্কই মানতে পারেননি মা।
3/6 শুধু পোষ্যদের নিয়ে খেলা নয়, অহনা-দীপঙ্কর গিয়েছিলেন স্যালোঁতে। ইনস্টা স্টোরিতে তাঁর এক ঝলকও শেয়ার করে নিয়েছেন ‘মিশকা’। ব্যস্ত শিডিউলের ফাঁকে একটু নিজের চর্চা আর কী! আসলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্ট্রেসের মধ্যে দিয়েও যেতে হচ্ছে তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত শুনতে হচ্ছে কটাক্ষ। যবে থেকে চাঁদনী পোস্ট করে জানিয়েছেন মেয়ে তাঁর থেকে আলাদা থাকেন, তবে থেকে অনেকেই তাঁকে বাস্তব জীবনেও খলনায়িকা বানিয়ে দিয়েছে।
4/6 আর তারপর লম্বা একটা লং ড্রাইভ। মন ভালো করতে এর চেয়ে বেশি আর কী বা চাই! তার ঝলকও অহনা শেয়ার করে নিয়েছেন ইনস্টা স্টোরিতে। গাড়িতে বাজছিল ‘তেনু মে লাভ কর দা’ গানটি। গাড়ি চালাতে চালাতেই বেশ উপভোগ করছিলেন দীপঙ্কর। বৃষ্টির রাতে আলো ঝলমলে শহরে রোম্যান্টিক মুডে পাশে অহনা।
5/6 এর আগেও মঞ্চে সেরা খলনায়িকার সম্মান নিতে উঠে অহনার মুখে শোনা গিয়েছে তাঁর ‘ডি’ (দীপঙ্কর)-এরই গুণগান। এই বিশেষদিনেও পাশে ছিলেন না মা চাঁদনী। অহনাকে মঞ্চে উঠে বলতে শোনা যায়, ‘আমার জীবনের প্রথম অ্যাওয়ার্ড, প্রথম নমিনেশন, আমার প্রথম সিরিয়াল। কী বলব জানি না। থ্যাঙ্ক ইউ ডি। পরিচালক অনুপম হরিকে অনেক ধন্যবাদ। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র গোটা টিমকে ধন্যবাদ। অহনা আজ মিশকা হয়ে এই অ্যাওয়ার্ড নিল। আগামী দিনে আরও আরও অন্য রূপে অ্যাওয়ার্ড নেবে। ধন্যবাদ।’
6/6 মায়ের সঙ্গে ঝামেলা নিয়েও নিজেও মুখ খুলেছেন অহনা। জানিয়েছেন, ‘মা চেষ্টা করেছিল অনুরাগের ছোঁয়া থেকে যেন আমার বা দীপঙ্করের কাজটা চলে যায়। আমি বাধ্য হয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে চলে আসি। নয়তো কার ভালো লাগে নিজের মাকে ছেড়ে থাকতে। নিজের বাড়ি ছেড়ে এসে থাকতে। আমাকে ট্রোল করবেন না আর। আমার মা আমাকে এত বছরে যথেষ্ট শিক্ষা দিয়েছে। আমি জানি ঠিক ভুল কোনটা। আমার এতদিনে দীপঙ্করকে খারাপ মানুষ মনে হয়নি। যদি পরে ৮০ বছর বয়সে গিয়ে মনে হয়, তখন দেখা যাবে।’