২৪ সেপ্টেম্বর ডটার্স ডে ছিল। কিন্তু না, সেদিন মেয়েকে নিয়ে কিছুই পোস্ট করেননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং তার পরদিন মেয়ে এবং শোভন দুজনকে নিয়েই দুটি বিশেষ পোস্ট লিখলেন তিনি। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যার নাম মহুল ওরফে রিলিনা। সে এখন মা এবং ‘দুষ্টু’ অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকে।
মেয়ের জন্য এদিন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ছবি শেয়ার করেন। তার ছোটবেলা থেকে বর্তমান সময়ের নানা ছবিই সেই পোস্টে দেখা যায়। এগুলো পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'কাল ডটার্স ডে ছিল মহুল? আমার জন্য তো সেই ২০১২ সালের ১ নভেম্বর থেকে প্রতিদিনই ডটার্স ডে। আমি অত্যন্ত ধন্য তোমার মতো একজন মেয়ে, একজন বন্ধুকে পেয়ে যে সবসময় আমায় সঠিক পথে চালিত করেছে। আমি চাই তুমি একজন যোদ্ধা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরো। তুমি জানো মহুল, আমায় নিয়ে যা যা কথা বলা হয়েছে ভালো মন্দ, নোংরা, প্রশংসনীয় তার মধ্যে সব থেকে কোনটা ভালো? আমি মহুলের মা। তোমায় ভীষণ ভালোবাসি।'

মেয়ের জন্য লেখা বৈশাখীর পোস্ট
না, তবে মেয়ের জন্যই তিনি এদিন এমন মিষ্টি একটি বার্তা লেখেননি। লিখেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্যও। যবে থেকে শোভনের সঙ্গে তিনি থাকতে শুরু করেছেন তবে থেকেই সমস্ত অনুষ্ঠানে তাঁদের একত্রে দেখা গিয়েছে। এদিনও সেই কথা মনে করেন বিশেষ মানুষের জন্য বৈশাখী লেখেন, 'আমি যতই বলি মহুল কেবল আমার মেয়ে, শোভন ওর কাছে বাবার থেকেও বেশি। আমি যে মানুষটাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে এসছি সে আমায় মহুলের মা হতে সাহায্য করেছে, আমি তার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে এমন এক মহিলার পা চাটতে শুরু করে যে আমার মেয়ের ক্ষতি করতে চেয়েছে, শিডিউল কাস্ট হওয়ার জন্য তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। এদিকে মহুলের দুষ্টু শোভনকে দেখুন যে ওকে আশ্রয় দিয়েছে, ওর পাশে থেকেছে সব কিছুতেই।'
তিনি আরও লেখেন, 'এবার অনুমান করুন তো যে ডটার্স ডে'তে ও মহুলকে কী উপহার দিয়েছে? মহুল দুবছর আগে দুষ্টুকে বলেছিল যে ও আর মনোজিতের পদবী ব্যবহার করতে চায় না। গতকাল শোভন ওকে ফাইনালি সেই সার্টিফিকেট দেয় যেখানে ও কেবল রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, রিলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডল নয়। এখন থেকে মহুল খালি আমার, আমার মেয়ে। অনেক ধন্যবাদ শোভন।'

শোভনের জন্য লেখা বৈশাখীর পোস্ট
অনেকেই তাঁর এই পোস্টে তাঁদেরকে ভালোবাসা জানিয়েছেন। শুভ কামনা জানিয়েছেন।