'হোক কলরব ফুলগুলো সব লাল না হয়ে নীল হল ক্যান... হোক অযথা এসব কথা তাল না হয়ে তিল হল ক্যান?' গানটা ভীষণ চেনা তাই না? গানের গায়ককেও। এপার বাংলা, ওপার বাংলা দুই বাংলাতেই তাঁর সমান খ্যাতি, পরিচিতি। সায়ন চৌধুরীর ওরফে অর্ণবের গাওয়া এই গান বিপুল জনপ্রিয়। কিন্তু এর গীতিকারকে চেনেন না অনেকেই। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত চিত্রপরিচালক রাজীব আশরাফ। তিনি এদিন অনন্তলোকে পাড়ি দিলেন। তাও মাত্র ৩৮ বছর বয়সে। বাংলাদেশের গান বলুন বা সিনেমা দু জায়গাতেই বিরাট শূন্যস্থান তৈরি করে দিয়ে গেলেন রাজীব।
রাজীব আশরাফ একাধিক নাটক এবং শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন। হোক কলরব ছাড়াও রোদ বলেছে হবে, ঘুম, ধূসর মেঘ, একটা মেয়ে ইত্যাদির মতো একাধিক গানের স্রষ্টা তিনি। এই গানগুলি তাঁরই লেখা। কিন্তু কী এমন হল যে মাত্র ৩৮ বছরেই থেমে গেল রাজীবের জীবন?
দীর্ঘদিন, বলা ভালো ছোটবেলা থেকেই রাজীব শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। গত বৃহস্পতিবার সেটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও দুটো হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে তাঁর ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: একফ্রেমে অর্ণব-অরিজিৎ, জল্পনা উসকে পদ্মাপাড়ের গায়ক লিখলেন, 'গান পাঠাচ্ছি শীঘ্রই'
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো যায়নি। এরপর তাঁকে আরও একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও ভর্তি নেয় না রাজীবকে। সব শেষে রাত ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো যায় তাঁকে।
চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকরা, কিন্তু বাঁচানো গেল না তাঁকে। এদিন সকাল ১১ টায় মাত্র ৩৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজীব। তাঁর সহকর্মী থেকে, আত্মীয়, ভক্ত কেউই এত অল্প বয়সে তাঁর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা সকলেই শোকে মুহ্যমান।
অর্ণবের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল রাজীবের। তাঁর চলে যাওয়ার পর তিনি লিখেছেন 'রাজীব চলে গেল। দোয়া করো সবাই।' সঙ্গে তিনি বন্ধুর একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি।