কখনও তাঁরা কাছাকাছি আসেন, কখনও দূরে যান। তাঁদের সমীকরণ বোঝা বড়ই কঠিন। ফলে বিতর্ক এবং চর্চা কোনওটাই যেন তাঁদের পিছু ছাড়ে না। বাংলাদেশের বোধহয় সব থেকে বিতর্কিত জুটি তাঁরাই, শরিফুল রাজ এবং পরীমনি। বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে তাঁদের মধ্যে সমস্যা ফের দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশি অভিনেত্রী পাঁচটি কারণ প্রকাশ্যে এনেছেন রাজের সঙ্গে সংসার না করতে চাওয়ার কারণ হিসেবে, তাঁকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য।
কী কী কারণে রাজকে ডিভোর্স দিতে চান পরীমনি?
পরীমনি যে যে কারণ দেখিয়েছেন রাজকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সেগুলো হল: মানসিক অশান্তির সৃষ্টি, তাঁদের মধ্যে কোনও বনিবনা ছিল না, রাজ তাঁর খবর রাখতেন না, উল্টে নাকি অভিনেতার অন্য নারীদের প্রতি আসক্তি আছে, পরিশেষে মনের অমিল।
পরীমনি বাংলাদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে একাধিক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আর সেখানে তিনি নানা বক্তব্য তুলে ধরেছেন তাঁর। পর পর অভিযোগের তীর হেনেছেন শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে। এতদিন অভিনেতা মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও এবার তিনি মুখ খুললেন। তাঁর স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ এনেছেন সেগুলোর তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ। স্পষ্ট করেন তাঁকে নিয়ে যে ধরনের কথা বলা হচ্ছে তাতে তিনি বিরক্ত।
আরও পড়ুন: দাম্পত্য কলহ শেষে ফের জুটি বাঁধছেন রাজ-পরীমনি? কোন ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের?
আরও পড়ুন: 'ওর জেল হওয়া উচিত', পঞ্চম স্বামী রাজকে ডিভোর্স নোটিশ পরীমনির, রাজ্যর কাস্টডি কার?
রাজ কী বলেছেন?
প্রথম আলোকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ এবং পরীমনির আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ বলেন, 'আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে ভালো কথা, আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার না করলেই ভালো। আমি একটা কথা পরিষ্কার করে দিতে চাই আমারও একটা পরিবার আছে, সেটা মনে রাখতে হবে। আর বিয়ের পর থেকে আমি পরী বা বাবুকে ছাড়া আর কিছুই ভাবিনি।'
তিনি তাঁর কথায় আরও জানান যে বিবাহ বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি সংবাদ মাধ্যম থেকেই জেনেছেন। রাজের কথায়, 'আমি যতটুকু পেরেছি স্ত্রী এবং সন্তানের যত্ন করেছি, ফলে পরীর আমায় নিয়ে এসব বলার কোনও জায়গা নেই। গত এক বছর আমি কাজ থেকে দূরে থেকেছি, কারও ফোন ধরিনি, যোগাযোগ করিনি। ফলে আমি এমন কিছুই করিনি যার জন্য আমায় এত প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। আমাকে বারবার হেনস্থা করা হয়েছে, এসব নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। ও যা চায় সেটাকে শ্রদ্ধা করি। তার বাইরে কিছু নয়।'