এবার কি পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন টলিউডের ‘ফার্স্ট ম্যান’? সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে এমন জল্পনাই তুঙ্গে উঠল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। দু'জনের মধ্যে কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে নিজের লেখা বই ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ উপহার দেন। ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে পোজ দেন দু'জনে।
সেই সাক্ষাতের বিষয়টি সামনে আসার পরই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। যদিও বিজেপির এক শীর্ষনেতার দাবি, নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য প্রসেনজিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন অনির্বাণ। তাতে রাজনৈতিক রং খোঁজার দরকার নেই। সেই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ নিয়ে প্রসেনজিতের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে।
বিশেষত টলিউড মহলে তৃণমূল কংগ্রেসের একচ্ছত্র আধিপত্যে থাবা বসাতে আগে থেকেই উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। টলিউডের বড় বড় ‘মাথা’-রাও তালিকায় আছেন বলে খবর। একইসঙ্গে সম্প্রতি একাধিকবার বিজেপির ‘কাছাকাছি’ এসেছেন প্রসেনজিৎ। যদিও প্রকাশ্যে কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই যখন দিল্লিগামী বিমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখনও প্রসেনজিতের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় আবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রসেনজিৎকে ‘অপসারণ’ করা হয়েছিল। তার ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ‘চিড়’ ধরেছে বলেও কানাঘুষো চলতে থাকে। সেইসবের মধ্যে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সরকারি অনুষ্ঠানে যান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগতও জানান প্রসেনজিৎ। তাতে জল্পনা বাড়লেও প্রসেনজিতের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি করা হয়, নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান ছিল। তাতে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। সেই সরল ব্যাখ্যায় অবশ্য মানতে চাননি রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এবার ভোটের ঠিক আগে বিজেপি নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের ফলে ‘দুইয়ে দুইয়ে চার’ করছেন পর্যবেক্ষকরা।