পুরোনো অস্ত্রেই যুদ্ধ জয় দূরদর্শনের। লকডাউনের জেরে দূরদর্শনের পর্দায় ফিরছে রামায়ণ, মহাভারত, শক্তিমানের মতো আশি ও নব্বইয়ের দশকের একগুচ্ছ হিট ধারাবাহিক। তিন দশক পরেও এই আইকোনিক শোগুলির জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি। বরং করোনা সংকটের সময় সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে হিসাবে পরিবারের সব জেনারেশনের সদস্যরা ফের একবার দূরদর্শনমুখী, এমনটাই বলছে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা BARC-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট। ২৮ মার্চ থেকে ৩-রা এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে দর্শক সংখ্যার বিচারে গোটা দেশে পয়লা নম্বরে থাকল দূরদর্শন। সকাল এবং সন্ধ্যার স্লটে এই জাতীয় ব্রডকাস্টারের দর্শকসংখ্যা ঐতিহাসিকভাবে ৪০,০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে! যদিও দূরদর্শনের পাশাপাশি লকডাউনের জেরে অনান্য বেসরকারি চ্যানেলগুলির দর্শক সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। BARC-জানিয়েছে হিন্দু পৌরাণিক ধারাবাহিক রামায়ণ,মহাভারত, শক্তিমান, বুনিয়াদের মতো কাল্ট সিরিয়াল সম্প্রচার করছে দূরদর্শন। যে সময় এই শোগুলো সম্প্রচারিত হত, তখন গোটা দেশে টেলিভিশন সম্প্রচারে DD-একচ্ছত্র অধিকারি ছিল। মূলত রামায়ণ এবং মহাভারতের কাঁধে ভর দিয়েই BARC-এর তালিকায় এক নম্বরে উঠে এল দূরদর্শন। অনান্য অনুষ্ঠানগুলিও এই বিরল কীর্তি অর্জন করতে সহায়তা করেছে দূরদর্শনকে।
পাশাপাশি ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল জানিয়েছেন রবিবার, ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ‘প্রদীপ জ্বালাও’ কর্মসূচীর সময় ২০১৫ থেকে প্রথম প্রাইম টাইমে সবচেয়ে কম সংখ্যক দর্শক টেলিভিশন দেখেছেন। পাশাপাশি এই তথ্যও সামনে এসেছে মোদীর প্রদীপ জ্বালাও কর্মসূচীর ঘোষণা দেখেছেন কম সংখ্যক মানুষ। গোটা দেশের প্রায় ১১৯ মিলিয়ন মানুষ সেইসময় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেছেন, যে জায়গায় মোদীর লকডাউন ঘোষণার বক্তৃতা শুনেছিলেন প্রায় ১৯৭ মিলিয়ন ভারতবাসী।
২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল, এই সময়কালের মধ্যে টেলিভিশনের সামগ্রীক দর্শক সংখ্যা ৪ শতাংশ বেড়েছে আগের সপ্তাহের তুলনায়। এবং করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগের থেকে প্রায় ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সিনেমা এবং সংবাদ চ্যানেলগুলোর দর্শক সংখ্যাও রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রিপোর্টে এটাও উঠে এসেছে কোনওরকম ক্রীড়াবিষয়ক ইভেন্টা জারি না থাকা সত্ত্বেও স্পোর্টস চ্যানেলগুলির ভিউয়ারশিপ ২১ শতাংশ বেড়েছে, পুরোনো ক্রিকেট ম্যাচ এবং WWE-র ম্যাচগুলোই সবচেয়ে বেশি দেখছেন ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা।