দাদাগিরির মঞ্চে বাংলা, প্রবাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন মানুষ খেলতে আসেন। তাঁদের থেকে জানা যায় নানা অজানা গল্প, তথ্য। আসেন তারকারাও। তবে এবারের দাদাগিরির যে মূল মন্ত্র, বাঙালি লড়ে, বাঙালি গড়ে সেই কথা যেন এই আগামী পর্বে পরতে পরতে দেখা যাবে। সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে সেই পর্বের প্রোমো।
দাদাগিরির মঞ্চে এবারে বাঙালির প্রকৃত দাদাগিরির গল্প
জি বাংলার তরফে দাদাগিরির যে নতুন প্রোমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই বাঙালির কথা যাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল তো বটেই, নজিরও গড়েছেন। সাহায্য করেছেন সমাজকে।
এদিন দাদাগিরির মঞ্চে খেলতে আসেন পল্লবী ঘোষ। ইনি একজন সমাজসেবিকা। তিনি মূলত নারী এবং শিশু পাচার আটকান বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। তিনি এই মঞ্চে এসে জানান বাংলার প্রতিটা গ্রাম থেকে নারী পাচার চলছে। যা শুনে শিহরিত হন খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তারপর জানা যায় তিনি এখনও পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মেয়েকে বাঁচিয়েছেন পাচার হওয়ার হাত থেকে। তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়ে যান সৌরভ। বলেন, 'অনবদ্য ম্যাম।'
আরও পড়ুন: 'এই বাড়ি যা...' খুদে প্রতিযোগীর উপর চটে লাল সৌরভ, কী হয়েছে দাদাগিরির মঞ্চে?
আরও পড়ুন: সৌরভের নাম ভাঙিয়ে ভিনরাজ্যে সুবিধা নিচ্ছেন বহু বাঙালি! দাদা বললেন, 'কতজন যে এভাবেই...'
এরপরই দেখা যায় বাংলার আরেক ছেলে উদয় কুমারের কথা। একটি দুর্ঘটনায় বাদ যায় তাঁর একটি পা। তবে তাতে মোটেই থেমে থাকেননি তিনি। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ম্যারাথন করেন, সাঁতার কাটেন। এবার তাঁর লক্ষ্য এই এক পায়ে পাহাড় চড়া। তাঁদের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে যান খোদ দাদাও।
কে কী বলছেন?
জি বাংলার তরফে এই প্রোমো পোস্ট করা হলে অনেকেই তাতে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'এরকমই হার না মানা এগিয়ে যাওয়ার গল্প শোনার জন্য আমাদের মতো কিছু মানুষ দাদাগিরি দেখে আর নিজেকে আরও শক্ত করে তোলে হার না মানা গল্পে নিজেদের সামিল করে তোলার জন্য।' আরেকজন লেখেন, 'এঁরাই আসল দিদি নম্বর ওয়ান। এটাই আসল দাদাগিরির গল্প।'