পুজো-তে আসছে ‘বাঘা যতীন’ সিনেমা। দেবের ছবি নিয়ে আপাতত উত্তেজনা দর্শকদের মধ্যে। মনে করা হচ্ছে, সৃজিতের দশম অবতার, কোয়েল মল্লিকের মিতিন মাসি, নন্দিতা-শিবপ্রসাদের রক্তবীজকে কড়া টক্কর দেবে এই সিনেমা। ছবি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেব। সেই ছাপ ধরা পড়ল ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানেই।
১৯শে অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে মুক্তি পাবে ‘বাঘা যতীন’। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বাংলার সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের কাহিনি ফুটে উঠবে বড় পর্দায়। যার ঝলক দেখা গেল ট্রেলারেও। ক্ষুদিরাম বোস থেকে রাসবিহারী বসু, প্রায় ৯০ জন জানা-স্বল্প চেনা স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্র রয়েছে এই ছবিতে। খালি হাতে বাঘ মেরেছিলেন বাঘাযতীন, ভিএফএক্স-এর মাধ্যমে ফুটে উঠবে সেই লড়াই। যার কিছুটা রয়েছে ট্রেলারেও। দেবের গলায়, ‘আমি যে পথে হাঁটছি, সেই পথ শেষ হয় মৃত্যুতে’ শুনে গায়ে কাঁটা দিতে বাধ্য।
বাঘা যতীনকে ভয় পেতেন ইংরেজরা। ধুতি, পাঞ্জাবি, কোট পরা এক বাঙালি উড়িয়েছিল ইংরেজদের হুশ। তা ব্রিটিশরা যেভাবে ভয় পেতেন বাঘা যতীনকে, তেমনকি একের পর এক হিট দেওয়া দেবকেও ভয় পাচ্ছে টলিউড? যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বড় পর্দার ব্যোমকেশ। বরং জানালেন, ‘আমি তা মনে করি না। আমি তো ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে এগোচ্ছি, একা এগোচ্ছি না। আমি যেই ধরনের ছবি করছি, যে ধরনের ক্যানভাস নিয়ে বম্বেতে যাচ্ছি, আমার মনে হয় তোমাদেরও গর্ব হওয়া উচিত বাঙালি হিসেবে। এটা তো আমার একার ইন্ডাস্ট্রি নয়। তোমরা ইন্টারভিউ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিকে বড় করতে পারে, আমি অভিনয় বা প্রযোজনা করে বড় করতে পারি। সবার অংশীদারী রয়েছে এখানে। এখানে ভয় দেখানোর কিছু নেই।’
‘আঞ্চলিক ভাষার সিনেমা যেভাবে এখন বড় হচ্ছে, সেখানে বাংলা ছবি একটু পিছিয়ে রয়েছে। তবে একটা সিনেমা যদি বড় হয়, তখন সেই আবার আগের স্বর্ণযুগ ফিরে আসবে। তখন আর মানুষ ৫-৭ কোটি ইনভেস্ট করতে ভয় পাবে না। মানুষ হলেও আসছে ছবি দেখার জন্য।’, জানালেন দেব।
অগস্ট মাসে ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’ মুক্তি পেয়েছিল দেশব্যপী। যদিও সেই সিনেমা মোটের উপর ভলো ব্যবসা করলেও, কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি। তাই বাঘা যতীনকে ব্লকবাস্টার করতে কম পরিশ্রম করছেন না অভিনেতা। কলকাতার নানা জায়গায় ছুটছেন প্রচারে টিম নিয়ে। স্কুল থেকে কলেজ-- কোনওটাই বাদ পড়ছে না। ডিসেম্বরেও মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে প্রধান-এর। যাতে দেবের বিপরীতে থাকবেন ছোট পর্দার নায়িকা সৌমিতৃষা কুণ্ডু। সিনেমায় ডেবিউ হতে চলেছে মিঠাই-রানির।