এই সময়ে দাঁড়িয়ে যদি একটু টাইম ট্রাভেল করা যায়, মানে বেশিদিন নয়। ধরুন মাত্র সাত-আটদিন যদি এগিয়ে যাই? ততক্ষণে দেবীর বোধন হয়ে যাবে, মুক্তি পেয়ে যাবে এবারের পুজোর সব ছবি। আর ঠিক সেই কারণেই এখন সমস্ত ছবির ফাটিয়ে প্রচার চলছে। তবে এগুলোর মধ্যে অন্যতম চর্চিত ছবি হল দেব অভিনীত বাঘা যতীন। এই ছবির হাত ধরে আরও একবার ঐতিহাসিক চরিত্রে অবতীর্ণ হবেন দেব। পর্দায় তুলে ধরবেন ইতিহাসের কথা।
বাঘা যতীনের সঙ্গেই মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দশম অবতার, অরিন্দম শীলের জঙ্গলে মিতিন মাসী এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত রক্তবীজ। এই হেভি ওয়েট ছবির মধ্যেও বাঘা যতীন নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী দেব? সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'আমি আমার কাজ করে ফেলেছি। ছবি করা আমার কাজ, সেটা করে যাচ্ছি। এবার বাকিটা দর্শকদের হাতে। তাঁদের পছন্দ হবে কিনা, কেমন হয়েছে, দেখবেন কিনা সবটাই তাঁদের উপর। তবে এখনও পর্যন্ত বাঘা যতীন নিয়ে যা যা বেরিয়েছে সবেতেই দারুণ সাড়া পেয়েছি।' কিন্তু একসঙ্গে এতগুলো হেভি ওয়েট ছবি। একটা লড়াই তো থাকছেই। নয় কী? এই প্রসঙ্গে পর্দার বাঘা যতীন বলেন, 'আমার সব ছবিই আজ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কোনটার মুক্তিই সহজ ভাবে হয়নি। টনিক রিলিজ করল যখন তখন ৮৩ মুক্তি পেয়েছিল। আমরা হল পাইনি প্রথমে। তবুও ছবি হিট করে। প্রজাপতির সময়েও এক জিনিস হয়। মানুষ যেটা চায় সেটা বানিয়ে আমরা দেব। এবার বাকিটা তাঁদের উপর।'
দেবের মতে, 'এবারের পুজোয় চারটে চার রকমের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। মানুষের যেটা ভালো লাগবে সেটা দেখবে। তবে কোনও বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নিয়ে বাংলায় এই স্কেলে এর আগে ছবি হয়নি। তাই কোথাও গিয়ে আমাদের ছবি আলাদা। এটা কোনও সিক্যুয়েল বা প্রিক্যুয়েল নয়। ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী আমার ছবি নিয়ে।'
এই ছবিতে দেব ছাড়াও আরও একজন দক্ষ অভিনেত্রী আছেন। সুদীপ্তা চক্রবর্তী নিয়ে কী মত দেবের? উত্তরে অভিনেতা বলেন, 'সুদীপ্তাদি একজন দুর্দান্ত অভিনেত্রী। উনি হয়তো অতটা সুযোগ পান না বা ওঁর জন্য আমরা সেভাবে স্ক্রিপ্ট বানাতে পারি না।'
আরও পড়ুন: ‘জওয়ান,পাঠান যেখান থেকে করেছে…’, বাঘাযতীনের গানের প্রযুক্তিতে লেগেছে বিশাল টাকা, ফাঁস করলেন দেব
আরও পড়ুন: দেব ছাড়া বাংলা ছবিকে কেউ ব্যবসা দিচ্ছে না? বিতর্কের উত্তরে কী বললেন 'বাঘা যতীন'?
তবে যতই সুদীপ্তা চক্রবর্তী থাকুন না কেন এই ছবির মুখ কিন্তু একজনই। আর তিনি হলেন বাঘা যতীন স্বয়ং। এই দায়িত্ব নিয়ে দেব জানান, 'আমার ছবির ক্ষেত্রে আমার দায়িত্বই বেশি থাকে। চাঁদের পাহাড় মানুষ আর কাকে চিনতেন? বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, শুধু সেটাই জানতেন সবাই। ফলে একটা ছবি যখন হিট করে সেই আনন্দ সবার। কিন্তু ফ্লপ করলে সেই দায়িত্ব কেবল সুপারস্টারের। আর আমি সেটা নিই।'
কিন্তু পুজোর আমেজে কি মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামীর গল্প দেখতে চাইবে? উত্তরে দেব জানান, 'আজ যাঁদের জন্য দেশ স্বাধীন, আমরা এত আনন্দ করে উৎসব পালন করছি, তাঁদের কথা এই সময় মনে করব না?'
ফলে ছবি মুক্তির আগে দেব যে ছবি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সেটা স্পষ্ট। তবে দর্শকদের তাঁর ছবি কতটা ভালো লাগে সেটা তো সময়ই বলবে।