রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শো দিদি নম্বর ১-এ এসেছিলেন সম্প্রতি প্রেরণা দাস। কনটেন্টে ক্রিয়েটার হিসেবে নিজের নাম করেছেন প্রেরণা ইতিমধ্যেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতিও খুব। ইনস্টায় প্রায় ২ লাখ মানুষ ফলো করেন প্রেরণাকে। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার প্রায় ৪৫ হাজার। ফেসবুকে তা ২৪ হাজারের কাছাকাছি।
প্রেরণা রচনাকে এসে জানানা, তাঁর বাবার এখনও বুঝতে সমস্যা হয় মেয়ে ঠিক কী কাজ করে! লাল পঞ্জাবিতে সেজেই এসেছিল মেয়ে আর বাবা। কাজের প্রসঙ্গে প্রেরণা জানান, প্রথমে শুরুটা করেছিল ফ্যাশন সংক্রান্ত ভিডিয়ো দিয়ে। কিন্তু তা সেভাবে ভিউজ এনে দিতে পারেনি। এরপর গত ২ বছর রোজকার জীবনের উপর কনটেন্ট বানানো শুরু করেন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
প্রেরণার বাবা আশিস জানালেন, মেয়ে ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। ১১-১২ ক্লাসে সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনাও করেন। শুধু তাই নয় মেয়ে ব্যাঙ্কে একটা চাকরিও পায়। এরপরই প্রেরণা নাকি একদিন অফিসে বসেই টিফিন টাইমে বাবাকে ফোনে জানান, চাকরিটা আর করতে চান না।
প্রেরণার বাবার চিন্তা মেয়ের ভবিষ্যত নিয়েও। কারণ ভাইরালের দুনিয়ায় আজ যে বিখ্যাত, কাল তার খ্যাতি নাও থাকতে পারে। যদিও প্রেরণা সগর্বেই জানান, ব্যাঙ্কের চাকরির থেকে অনেক বেশি কামাচ্ছেন।
এরপরই রচনা আশিসবাবুকে প্রশ্ন করেন, মেয়ের লাভ লাইফ নিয়ে। যাতে উত্তর আসে, ‘বিয়ে করবে বলে তো মনেই হচ্ছে না ম্যাডাম’। এরপর ‘টিভির দিদি’ উপদেশ দেন, ভিডিয়ো পোস্টে কার কমেন্ট সবচেয়ে বেশি পড়ছে সেদিকে চোখ রাখার। যদিও তাতে প্রেরণার বাবা বলেন, ‘আমি তো ধরতেই পারছি না। বৈশাখে একটা তো জ্যৈষ্ঠ আরেকটা’। যাতে রচনা বলেন, ‘বুঝেছি ওই কারণে এত টেনশন আপনার’।
বাবার কথা শুনে হাসি থামছিল না প্ররণারও। বলে ওঠ, ‘আমাকে দেখে তোমার এরকম মনে হয়.বলো! আসলে বলছে একটা স্টেবল রিলেশনে যেতে।’ এরপর রচনা টিপ্পনি কাটেন, ‘কাউকে বলেই উঠতে পারছে না! তার আগেই চলে যাচ্ছে।’
বাংলা থেকে যে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন জাতীয় স্তরে গিয়ে নাম কামিয়েছে তাতে প্রথম সারিতে আছেন প্রেরণা। বাবামেয়ের এই জুটি বেশ মনে ধরেছে নেটনাগরিকদের। অনেকেই লিখেছেন, বাবার থেকেই এরকম হাসিখুশি স্বভাব পেয়েছেন। এমনকী, প্রেরণার ভিডিয়োতে থাকা হাস্যরসের কৃতিত্বও খানিকটা গেছে আশিসবাবুর উপরে।