মায়াবী চাঁদের রাতকে সাক্ষী রেখেই সাত পাক ঘুরলেন টলিগঞ্জের আরও এক সদস্যা। এককথায় টলিপাড়ায় বিয়ের মরসুম চলছে তা বলাই যায়। শাঁওলি, রোসনি, ঐশ্বর্যদের পর এবার বিয়ের পর্ব সেরেছেন ইক্ষিতা। না, অভিনেত্রী নন,সঙ্গীত জগতের মানুষ ইক্ষিতা। বছর-দুয়েক ধরে নিয়মিত প্লে-ব্যাক করছেন বাংলা ছবিতে। অনির্বাণ-মিমির ‘ড্রাকুলা স্যার’-এর প্রিয়তমা গানটি গেয়ে নজর কেড়েছিলেন, তবে ‘বাবা,বেবি ও’ ছবির ‘এই মায়াবী চাঁদের রাতে’ গানে ইক্ষিতার মিষ্টি আওয়াজ সবার মন কেড়েছে। স্টার জলসার ‘গোধূলি আলাপ’এর মন ছোঁয়া টাইটেল ট্রাকও ইক্ষিতার গাওয়া।
বৃহস্পতিবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেন ইক্ষিতা। পাত্রও টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার তথা মিউজিক প্রোডিউসার হিসাবে কাজ করেন ইক্ষিতার বেটার হাফ অমিত চট্টোপাধ্যায়।
বিয়ের দিন একদম খাঁটি বাঙালি সাজে পাওয়া গেল ইক্ষিতাকে। টুকটুকে লাল বেনারসিতে সেজেছেন গায়িকা। সঙ্গে গা ভর্তি সোনার গয়না। মাথাপট্টি থেকে কোমরবন্ধ-কিছুই বাদ নেই।
ইক্ষিতা-অমিতের বিয়েতে হাজির ছিলেন টলিপাড়ার বেশকিছু পরিচিত মুখ। পৌঁছেছিলেন অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যরা। নৈহাটিতে বসেছিল বিয়ের আসর। সাত বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন অমিত-ইক্ষিতা, অবশেষে পরিণতি পেল এই সম্পর্ক। দুজনের প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছে নিয়মমাফিক। সঙ্গীত থেকে মেহেন্দি- কিছুই বাদ যায়নি।
নতুন জীবনের জন্য এই জুটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সকলেই। একসঙ্গে বহু কাজ করেছেন ইক্ষিতা-অমিত। গায়িকার বেশিরভাগ গানই মিক্সিং আর মাস্টারিং করেছেন তাঁর সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার বর। এই সুরেলা সফর জারি থাকুক, শুভকামনা ইক্ষিতা-অমিতের জন্য।