হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে ২০১২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন হেমা ও ধর্মেন্দ্র কন্যা এষা দেওল। বলিউডে তাঁর অভিনয় কেরিয়ার ছিল ক্ষণস্থায়ী। বাবা-মা'র সাফল্যের ছিটেফোঁটাও ভাগ্য়ে জোটেনি। শুরুতে ‘ধুম মাচিয়েছিলেন’ ঠিকই, কিন্তু তারপর আর সাফল্য়ের মুখ দেখেননি। আরও পড়ুন-‘হ্যাঁ, আমরা আলাদা হচ্ছি’, ১১ বছরের সংসার ভাঙছে, ডিভোর্সের কথা নিজেই জানিয়ে দিলেন এষা
বিয়ে করে ঘোর সংসারি এষা। সেভাবে রুপোলি জগতে আর দেখা যায়নি, কিন্তু তারপরেও টিকলো না দাম্পত্য। গত কয়েক মাস ধরেই এষা-ভরতের ডিভোর্সের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেই জল্পনায় সিলমোহর দেন তাঁরা। দম্পতির তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এসেছে সামনে। যেখানে লেখা ছিল ‘সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে’ দুজনে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ডিভোর্সের খবর জানাজানি হওয়ার পরেই সোশ্যালে ভাইরাল জুটির একাধিক পুরোনো সাক্ষাৎকার। ভরতের চোখে তাঁর হিরোইন বউ ছিল ‘ঘরোয়া’। ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এষার স্বামী একবার জানিয়েছিলেন, বউয়ের মুটিয়ে যাওয়ার আপত্তি রয়েছে তাঁর। সেই কারণেই এষার সঙ্গে তিনিও ভর্তি হয়েছিলেন যোগ-ব্যায়ামের ক্লাসে।
বিয়ের পর একবার নিজের সঙ্গে মায়ের পর্দার এক চরিত্রের তুলনা করেছিলেন এষা। ‘সত্তে পে সত্তা’ ছবির হেমার মতোই পরিস্থিতি ছিল এষার। বাড়ির বউ এষা, ভরতের ছয় তুতো ভাই রয়েছে। আদর্শ বউমা হওয়ার জন্য সারাক্ষণ মেয়েকে টিপস দিতেন হেমা।
এষা জানিয়েছিলেন, মা তাঁকে সকালে চটজলদি ঘুম থেকে ওঠবার পরামর্শ দিতেন। বললেন, ‘স্বামীর আগে ঘুম থেকে উঠবি। সব কাজে শাশুড়িমাকে সাহায্য করবি আর অবশ্য নাচের অনুশীলন বন্ধ করবি না।’ প্রসঙ্গত, মায়ের মতোই ক্ল্যাসিক্যাল ডান্সে পারদর্শী এষাও।
ভরত একটা সময় মুগ্ধ ছিলেন এষার মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার দক্ষতায়। তিনি জানিয়েছেন, ‘ও খুব ঘরোয়া মেয়ে। এষা আমার মায়ের যত্ন নেয়, ওঁনার খেয়াল রাখেন। সবার সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে গিয়েছে। ও খুব যত্নশীল এবং দায়িত্ববান। আমার পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখে। আমি খেতে ভালোবাসি, ও আমাকে রান্না করে খাওয়ায়। বিয়ের আগে ও চা বানাতেও জানতো না, এখন আমার জন্য খাও সুয়ে (এক ধরণের ন্যুডল স্যুপ) বানায়’।
হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র কন্যা এষা ২০১২ সালে পেশায় হিরের ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। ১২ বছর পর সেই বিয়েতেই ধরেছে ভাঙন। অনেকদিন ধরেই খবর ছিল, দুই মেয়েকে নিয়ে মা হেমার সঙ্গে থাকছেন। অন্য দিকে, ভরত নাকি রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। তবে একা নন, কোনও এক ‘প্রেমিকার’ সঙ্গে। আর টিনসেল টাউনের মুচমুচে খবরকে সত্যি প্রমাণ করল ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের ডিভোর্স ঘোষণার পোস্ট।
দিল্লি টাইমসকে দেওয়া বিবৃতিতে এষা ও ভরত জানিয়েছেন, ‘আমরা পারস্পরিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’ প্রসঙ্গত, এষা ও ভরতের দুই কন্য রয়েছে রাধ্যা (৬) ও মিরায়া (৪)।