প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের জট ক্রমশই ঘনীভূত হয়ে চলেছে । গত দু সপ্তাহ ধরে মুম্বইতে জোর কদমে এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। ডিআরডিও গেস্ট হাউসে নিয়মিত চলছে সন্দেহভাজন এবং অভিযুক্তদের জেরা পর্ব । এহেন আবহেই সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার তথা এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শ্রুতি মোদীর আইনজীবী অশোক সরোগি দাবি করলেন , সুশান্ত যে মাদকাসক্ত তা প্রথম থেকেই জানতেন তাঁর মক্কেল ।
সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অশোক বাবু দাবি করেন শ্রুতি চাকরিতে যোগ দেওয়ার দশ দিনের মাথায় সুশান্তের মাদক নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে পেরে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন । তবে অভিনেতার একান্ত অনুরোধে শেষ পর্যন্ত থেকে যেতে বাধ্য হন । তবে অভিনেতা তাঁকে কথা দিয়েছিলেন যে তিনি আর এই কু-অভ্যাসের শরিক হবেন না । কিন্তু এই মামলায় শ্রুতির নাম স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে জড়িয়ে দেওয়ার পিছনে অনেক বড় চক্রান্ত আছে বলে অভিযোগ করেন শ্রুতির আইনজীবী । অভিনেতার পরিবারের তরফে কিছু অন্যায্য দাবি করা হয়েছিল ,অভিনেতার বিশেষ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল শ্রুতির কাছে । কিন্তু শ্রুতি তা দিতে অস্বীকার করেই সুশান্তের দিদির রোষের মুখে পড়েছেন বলে দাবি করেন এই বর্ষীয়ান আইনজীবী ।
সম্প্রতি শ্রুতি এবং রিয়ার হোয়াটস্যাপ চ্যাট সামনে আসার পর থেকেই নতুন করে সন্দেহ দানা পাকাতে শুরু করে । যেখানে রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাদের ড্রাগ চ্যাটে শ্রুতি মোদীর উপস্থিতিও চোখে পড়ে।
এদিকে গত বুধবার অভিনেতার পরিবারের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ সিং প্রেস কনফারেন্সে এই কেসের ব্যাপারে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন ।
সম্প্রতি লিক হয়ে যাওয়া কিছু হোয়াটস্যাপ ম্যাসেজের সৌজন্যে জানা গিয়েছে সুশান্তের দিদিরাও প্রয়াত অভিনেতার মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আগে থেকেই অবগত ছিলেন , এবং ৮ই জুন তারিখে হোয়াটসঅ্যাপে প্রিয়াঙ্কা সিং কিছু ওষুধ খাবার পরামর্শও দিয়েছিলেন অভিনেতাকে । এই প্রসঙ্গে বিকাশ বাবু জানান ,' ওই ওষুধ নিছকই অ্যানসাইটির ওষুধ এবং আমাদের এফআইআরেও এটির উল্লেখ রয়েছে, যে সুশান্তের অ্যানসাইটির সমস্যার কথা পরিবার জানত। কিন্তু তার মানে সুশান্ত বাইপোলার ছিল বা ডিপ্রেশনে ভুগছিল এমন কিছু পরিবার জানত না ' । বিকাশ সিং বলেন প্রিয়াঙ্কা সিংয়ে দেওয়া ওই ওষুধ অ্যানসাইটির ওষুধ তা যে কোনও মনোচিকিৎসককে দিয়ে তা পরীক্ষা করিয়ে দেখা যেতে পারে ।