এবার পুজোয় খাকি উর্দিতে রুপোলি পর্দায় হাজির হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। সৌজন্যে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের রক্তবীজ। বর্ধমানের এসপি সংযুক্তা মিত্রর চরিত্রে এই ছবিতে দেখা যাবে মিমিকে। ছবির প্রচারে দম ফেলার ফুরসৎ নেই নায়িকার। তাই পুজো প্ল্যান করার সময় কোথায়! আরও পড়ুন-‘লোকে অভিনেত্রী মিমিকে ভালোবাসতো বলেই এমপি হিসাবে আমাকে ভোট দিয়েছে’
কিন্তু মিমির কাছে পুজো মানেই সাবেকি সাজ, পরিবার আর বন্ধুদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠা আর জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। এই বছর কেমনভাবে পুজোটা কাটাবেন মিমি? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেত্রী জানালেন, ২০ তারিখ পর্যন্ত ‘রক্তবীজ’-এর প্রচার চালাব। ষষ্ঠীর পর আমি কোনও কাজ করি না, মানে পৃথিবী উল্টে গেলেও আমি কোনও পেশাদার কাজ করব না'। এক নাগাড়ে বলে চললেন, ‘আমি নিজের আবাসনের পুজোর মন্ডপেই থাকি। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, বন্ধু-বান্ধব, ধুনুচি নাচ- এটাই আমার পুজোর প্ল্যান’।
পুজোর চারটে দিন কসবার নিজের আবসনের পুজোর জোগাড়ে সারাক্ষণ হাত লাগান মিমি। বললেন, ‘অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে ফুল-বেলপাতা.. অঞ্জলির তিনটে বেলপাতা যাতে নিঁখুত হয় সেটা দেখার দায়িত্ব আমার। ওই দূর্বা ঘাস, ফুল সকলকে দেওয়াটাও আমার কাজ’।
ছোটবেলার পুজো মিস করি না। তবে মিস করি আমার পরিবারকে, আমার বোনদের। এখন সবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সবাই আলাদা শহরে থাকে, কেউ দিল্লি কেউ বেঙ্গালুরু। আমার দিদিভাই ছাড়া আর কেউ জলপাইগুড়িতে থাকে না। হ্যাঁ, মিস করি বলতে নবমীতে আমাদের ওখানে রাবণ পোড়ানো হয়। ওটা একটা নিয়ম, ৯-১০টা রিক্সা করে গোটা পরিবার জলপাইগুড়ির ঠাকুর দেখা। রাত ১২টায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, চাউমিন খাচ্ছি, রোল খাচ্ছি, কোল্ড ড্রিঙ্কস খাচ্ছি, সেটাই ছোটবেলার পুজোর সেরা বিষয়।'
পুজো-মানেই মিমির কাছে নো-ডায়েট। পুজোয় কী কী খাবেন সেই তালিকা আগেভাবে তৈরি করে ফেলেছেন যাদবপুরের তারকা সাংসদ। বললেন, ‘আমার সবসময় ফেবারিট মিষ্টি। তালিকায় একদম ওপরে রয়েছে’।
পুজোয় কম্পিটিশন জোরদার। কোমর বেঁধে তৈরি মিমিও। বললেন, ‘আমি খুব বেশি চাপ নিচ্ছি বলাটাও ভুল, আবার একদম নিচ্ছি না বলাটাও ভুল। যে কটা ছবি আসছে সবকটাই ভালো ছবি। মার্কেটে কম্পিটিশন তো অবশ্যই রয়েছে, যে ‘কিস কে বড়কর কৌন’। যে সেরা, সেই জিতবে। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এটাই বলব, আমরা তখনই বেঁচে থাকব যখন দর্শক হলমুখী হবে। চারটে ছবিই দেখুন, তবে আমার ছবিটা একটু বেশি দেখুন’।