এই জ্বালাপোড়া গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। তাপমাত্রা ৪০ এর কোঠা পেরিয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। সঙ্গে আছে তাপপ্রবাহ। দুইয়ের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা সবার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা নির্দেশ দিয়েছেন। ফিজিক্যাল ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাস আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু যাঁদের এই গরমের মধ্যে কোনও অনলাইনের অপশন নেই তাঁদের মধ্যে পড়েন অভিনেতা, টেকনিশিয়ানরা। তাই এমন দাবদাহের হাত থেকে শিল্পী থেকে টেকনিশিয়ানদের বাঁচাতে পদক্ষেপ নিল ফেডারেশন। ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এমনটাই জানালেন।
মাসে মাত্র একটা রবিবার ছুটি থাকে টলি পাড়ায়। মাসের দ্বিতীয় রবিবার মাত্র বন্ধ থাকে শ্যুটিং। এক একদিন ১৪-১৫ ঘণ্টা করে শ্যুটিং চলে সিরিয়ালের। যেহেতু আগে থেকেই পরবর্তী পর্বগুলো শুট করে রাখতে হয় সেহেতু বেশ চাপে থাকতে হয় অভিনেতা সহ টেকনিশিয়ানদের। ছুটি পাওয়া যায় না মোটেই। প্রয়োজন কেবল শ্যুটিং ফ্লোর নয়, বাইরেও শুট করতে হয় বইকি! কিন্তু এখন যা দাবদাহ চলছে তাতে বাইরে শুট করা মানে ভয়ঙ্কর অবস্থা। তাই এই ভয়ঙ্কর আবহাওয়ায় বাইরে শুট যাতে না করতে হয় তার জন্য একাধিক নিয়ম জারি করল ফেডারেশন। এই বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, 'এখনই আমি প্রযোজক গিল্ড এবং ইম্পাকে মেল করছি। এই গরমে শ্যুটিং করা সত্যিই কষ্টকর। তাই বেশ কিছু বদল করতে হবে। তাই আলোচনায় বসার জন্য মেল করছি। আউটডোর শ্যুটিং যাতে এখন বন্ধ থাকে তার চেষ্টা করছি। শ্যুটিংয়ের সময়েরও বদল আনা প্রয়োজন। দুপুরের সময়টুকু যাতে শ্যুটিং বন্ধ থাকে, তেমনই প্রস্তাব রাখা হবে আমাদের তরফে।'
অভিনেতাদের কী অবস্থা এই হাঁসফাঁস গরমে? এই বিষয়ে হানি বাফনা আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি রোজ বাড়ি থেকে বেলের শরবত খেয়ে বেরোন। এছাড়া রোজ প্রচুর পরিমাণ ডিটক্স জল খাচ্ছেন। তাঁর কথায়, 'আমি এখন জলে উপরেই আছি। প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ কমিয়েছি।'
পঞ্চমী ধারাবাহিকে এখন আউটডোর শুট চলছে, সেখানে নায়িকা, খলনায়িকা দুজনকেই দণ্ডি কাটতে দেখা যাচ্ছে মন্দিরের বাইরে। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে এই সিরিয়ালের নায়িকা সুস্মিতা বলেন, 'যা গরম পড়েছে তাতে খালি পায়ে পিচের রাস্তায় হাঁটা খুব কঠিন। কিন্তু এখন আউটডোর শুট কম রাখা হচ্ছে যতটা পারা যাচ্ছে। আমি যত পারি ORS খাই। তরমুজ খাই।'