ভারতীয় পুলিশ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক দিবস এবং পুলিশ সংস্কার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শুক্রবার ভাষণ দিতে উঠেছিলেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি গৌতম পাটেল। যেখানে সিংঘম-এর মতো হিট বলিউড সিনেমার সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে। বলতে শোনা যায়, সিংঘম-এর মতো ব্লকবাস্টার সিনেমা যেখানে দেখানো হয় পুলিশ আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার কথা না ভেবে দ্রুত বিচার প্রদান করছে নির্যাতিতকে। তবে এই সিনেমাটিক ধারা খুব খারাপ বার্তা দেয় সমাজকে।
এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন মানুষের ‘অধৈর্য’ হয়ে পড়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ‘এই কারণেই যখন একজন ধর্ষণের অভিযুক্তকে পালানোর চেষ্টা করার সময় এনকাউন্টারে হত্যা করা হয়, তখন লোকেরা শুধু যে এটি সঠিক মনে করে তা নয়, বরং তারা সেটিকে উদযাপন করে। তাঁরা মনে করে ন্যায়বিচার পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সত্যি কি তাই?’, বলেন গৌতম।
‘সিনেমায় প্রায়ই নম্র, ভীরু, মোটা ফ্রেমের চশমা, বেশিরভাগসময় বাজেভাবে পোশাক পরা কিছু বিচারককে দেখানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দোষীদের আদালত থেকে মুক্তি দেওয়ার। এরপর নায়ক পুলিশ অফিসার জনগণকে বিচার দেয়।’, আরও বলেন ওই বিচারক। আরও পড়ুন: গণেশ পুজোয় ‘অশ্লীল’ ভোজপুরি গান, অক্ষরা সিং-কে চেয়ার ছুড়ে মারল ক্ষুব্ধ জনতা
‘সিংঘম মুভি বিশেষ করে এই সিনেমা ক্লাইম্যাক্সের দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যেখানে পুরো পুলিশ বাহিনী প্রকাশ রাজের অভিনয় করা রাজনীতিকের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে... এবং দেখাচ্ছে যে ন্যায়বিচার দেওয়া হচ্ছে। আর আমার প্রশ্ন, সত্যিই কি তাই?’ বিচারপতি প্যাটেল আরও বলেন, ‘বরং ভাবা উচিত, এই বার্তাটি কতটা বিপজ্জনক।’ আরও পড়ুন: দিলদরিয়া আমির খান! বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচলের পরিবারগুলিকে দিলেন ২৫ লাখ
‘কেন এই অধৈর্যতা? আগে তো এমন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে যেখানে আমরা নির্দোষ না অপরাধ করেছে তার সিদ্ধান্ত নেব? এই প্রক্রিয়াগুলি ধীরেই হয়... যাতে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা বাজেয়াপ্ত না হয়।’, প্রশ্ন তোলেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘আরও শাখা আসছে…’, ডালহৌসির পাইস হোটেল বন্ধের খবরের মাঝেই সুখবর দিলেন নন্দিনী
বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা সিংঘম। যা রোহিত শেট্টির কপ ইউনিভার্সের প্রথম সিনেমা। মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে। এবং ২০১০ সালের তামিল সিনেমার হিন্দি রিমেক। ছবিতে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অজয় দেবগনকে।