সিংহ রায় বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছে খড়ির পরিবার। শ্বশুর-শাশুড়িকে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দিতে মরিয়া ঋদ্ধি। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনাও করে মিলছে না সমাধান। অগত্যা অন্য পন্থা।
বনির সাহায্যে খড়ির প্রতিবেশীদের একত্র করে ঋদ্ধি। প্রথমে যদিও তার কথা শুনতে নারাজ ছিল সকলেই। অনেকেই পাড়ার জামাইকে 'বিশ্বাসঘাতক' তকমা দেয়। শেষমেশ বনির অনুরোধে ঋদ্ধির বক্তব্য শোনে তারা। অসাধু প্রোমোটার ঝুনঝুনওয়ালা কী ভাবে খড়িদের বাড়ি হাতিয়েছে, সে কথা সকলকে খুলে বলে ঋদ্ধি। জানায়, আইনের পথ সময়সাপেক্ষ। তত দিনে ভেঙে গুড়িয়ে যেতে পারে ভট্টাচার্য বাড়ি। তবে উপায়? তা-ও বাতলে দেয় সে। ঋদ্ধির কথা শুনে প্রতিবেশীরা তাকে সাহায্য করার আশ্বাসও দেয়।
(আরও পড়ুন: ‘খড়ি আর ঋদ্ধিকে এত কষ্ট দাও কেনো?’ ফাটাফাটি জবাব দিল খলনায়ক ‘রাহুল’)
অন্য দিকে, নতুন আস্তানায় নাজেহাল দ্যুতি-পারমিতা। গরম, মশার উৎপাতে ঘুম নেই চোখে। অনিদ্রা থেকে বিরক্তি। বিরক্তি থেকে ঝগড়া। অতীতে কতটা সুখে জীবন কাটিয়েছে, মাঝরাতে সেই ফিরিস্তি দিতে বসে দু'জনে। তর্ক-বিবাদের মাঝেই লক্ষ্য তারা করে, রাহুল হাওয়া! চাদর মুড়ি দিয়ে চুপি চুপি সিংহ রায় বাড়ি চলে যায় সে। লক্ষ্য, টাকা ভর্তি সেই ব্যাগ উদ্ধার।
কিন্তু গিয়েও আর কার্যসিদ্ধি হল কোথায়! বনির হাতে ধরা পড়ে যায় রাহুল। জামাইবাবুকে চোর ভেবে বেধড়ক মারতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে কোনও রকম পালায় রাহুল। তবে ফেলে রেখে যায় গায়ের চাদর। সেই চাদর খানিক নেড়েচেড়ে দেখে বনি। বোঝে সেটির মালিক তারই বাবা। তবে কি এ বার রাহুলের পরিচয় ফাঁস সময়ের অপেক্ষা?
রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে ঋদ্ধির। ছটফট করতে থাকা স্বামীকে ভরসা দেয় খড়ি। স্ত্রীর বুকে মাথা রেখে স্বস্তি পায় ঋদ্ধি। এই সঙ্কটই কি আরও কাছাকাছি আনবে তাদের? এখন সেটাই দেখার।