গৌরী এলো ধারাবাহিক একসময় টিআরপি-র উচ্চস্থানে থাকত মাসকয়েক আগেই। আধ্যাত্ম আর প্রেমের মেলবন্ধন করেছিল এই মেগা। তাই দর্শকদের আকর্ষণও ছিল মারাত্মক। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল গৌরী এলো-র পথ চলা।
জুন মাস থেকেই বদলে গিয়েছিল চিত্রটা। পয়লা জুন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ আর ‘জগদ্ধাত্রী’র একচেটিয়া আধিপত্যে ভাগ বসিয়ে বেঙ্গল টপার হয়েছিল গৌরী এলো। আর সেদিনই চ্যানেলের তরফে বদলে দেওয়া হয়েছিল গৌরী-র স্লট। যার কারণ ছিল ফুলকি সিরিয়ালটি। জি বাংলা প্রোডাকশনের থেকে আসা ফুলকিকে প্রাইম টাইম দিতে সরে যেতে হয় গৌরীকে। পাঠিয়ে দেওয়া হয় রামপ্রসাদের বিপরীতে। এখানেই শেষ নয়, অক্টোবরে ফের একবার সরিয়ে দেওয়া হয় একেবার রাতের স্লটে।
নভেম্বরেই হয়ে গেল গৌরী এলো-র শেষ দিনের শ্যুট। আর সমাপ্তিতে এসে চোখের জলে ভাসল ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। ঘোমটা কালীকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গেল গৌরী ওরফে মোহনা মাইতিকে। সামলানোই দায় হয়ে পড়েছিল। সহ-অভিনেত্রীকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করার চেষ্টা করতে দেখা গেল ইশান ওরফে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
চোখের জল আটকাতে পারেনি ধারাবাহিকের শিশু শিল্পীরাও। ঋষিতা ওরফে গৌরী-র মেয়ে তারাও থামাতে পারছিল না কান্না।
বিকেলের স্লটে তোমাদের রানী-র বিপরীতে চলছিল গৌরী এলো। তবে নিউএজ লাভস্টোরির সঙ্গে পেরে উঠছিল না প্রতিযোগিতায়। অক্টোবরেই সেই জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইচ্ছে পুতুলকে। অন লাইনে এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তাও ছিল মারাত্মক। সপ্তাহে ৭ দিনই এই ময়ূরী-নীল-মেঘকে দেখতে চাইছিল সকলে। ফলে রাত ১০টার স্লট দেওয়া হয়। তবে স্লট বদলেও বন্ধ হওয়া আটকানো গেল না।
ইশান ওরফে বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেঅ জানিয়েছিলেন নিজেকে গ্ল্যামারের দুনিয়া থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখবেন কদিন। বিশ্বরূপ বলেন, ‘একটা চরিত্র শেষের পর অন্য একটা চরিত্রে নিজেকে ঢেলে নিতে একটু সময় লাগে। সেই সময়টা আমি নিজের গ্রাম পুরুলিয়ার মানুষদের জন্য কিছু করতে চাই।’
ইনস্টায় গোটা টিমের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে নিলেন মোহনা। সঙ্গে লিখলেন, ‘আজ ১বছর ৯মাস এর সফর শেষ হল।। প্রথম দিনের কথা খুব মনে পড়ে। ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল, ভাবছিলাম কীভাবে করব, কীভাবে সংলাপ বলব, যদি ভুল হয় বকা দেন স্যার। কিন্তু সেদিন আমি পেরেছিলাম সবাই মনোবল দিয়েছিল বলে।’
‘সবাই কে খুবই মিস করবো, ফ্লোর এর প্রত্যেকটা মানুষ অনেক স্নেহ করেছেন অনেক ভালোবেসেছেন। আর যাকে ছাড়া আমার এই সফর সফল হত না তিনি হলেন মা ঘোমটাকালী। ওঁর আশীর্বাদ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে, খুব মিস করব মা তোমাকে। হয়তো তোমাকে আর রোজ দেখতে পাবো না কিন্তু তুমি আমার মনে সারাজীবন থেকে যাবে।’