রাজনীতির ময়দানে এলেও তাঁরা তারকা। সেজেগুজে, মেকআপ করে, লিপস্টিক লাগিয়ে টিপটপ বাড়ির বাইরে বের হওয়াটাই তাঁদের অভ্যাস। রূপটান তো তাঁদের জীবনেরই অঙ্গ। তবে এখন সেই রূপটানেই ইতি পড়েছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের। সামনেই তো নির্বাচন, এখন এত সময়ই বা কোথায়?
এখন চৈত্র মাস, তাতেই তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত চড়া হয়েছে। তবে আবহাওয়া যেমনই হোক, তাপমাত্রা যতই বাড়ুক, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে জমিয়ে ভোটপ্রচার চালাচ্ছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায়। দুজনেই হুগলি লোকসভার অধীন যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, সেগুলি ধরে ধরে ভোট প্রচার চালাচ্ছেন। সকল পার হয়ে দুপুর, তারপর বিকেল পার হয়ে সন্ধ্যে গড়াচ্ছে, তবুও প্রচার বন্ধ হচ্ছে না।
একসময় রুপোলি পর্দার পরিচিত মুখ ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে রাজনীতিতে আসার পর রুপোলি পর্দাকে বিদায় জানিয়েছেন লকেট। তবে রিলের লড়াইয়ের থেকে রিয়েলের লড়াই যে অনেক কঠিন তা মেনে নিয়েছেন লকেট। এই লড়াইয়ে তাই মেকআপ করে সেজেগুজে ময়দানে নামার সময় নেই। এববিষয়ে আনন্দবাজারকে লকেট বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্যই রাজনীতির এই লডাই। সর্বক্ষণ বাস্তবের মাটিতে থাকার জন্যই বছর দশেক হল সিনেমার পর্দা থেকে দূরেই রয়েছি। সেই তখন থেকেই মেকআপ বন্ধ।’
আরও পড়ুন-প্রচারে গিয়ে হঠাৎ দেখা, ভিড়ের মাঝে ছোটবেলার স্কুল শিক্ষিকাকে পেয়ে কী করলেন সায়নী?
লকেটের মতো রাজনীতিতে এসেছেন সিনেমার পর্দার আরও এক তারকা, জনপ্রিয় সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ময়দানে রচনা এক্কেবারেই নতুন। তবে তাঁরও এখন ভোটের দৌড়াদৌড়িতে মেকআপ করার সময় নেই। আনন্দবাজারকে রচনা বলেন, ‘হুগলিতে ভোটের আগে প্রচারের জন্য দু'মাস সময় পেয়েছি। মানুষের ভালোবাসা চাইছি। এই সময় ত্বকচর্চা নাইবা করলাম।’
তবে এই প্রচণ্ড তাপ থেকে বাঁচতে কী ডায়েট মেনে চলছেন রচনা-লকেটরা। লকেট জানিয়েছেন, তিনি নাকি সকালে মুড়ি খেয়ে বের হচ্ছেন, সঙ্গেও মুড়ি, জল আর বাতাসা রাখছেন। আর সারাদিন প্রচারের ফাঁকে প্রচুর জল খাচ্ছেন। রাতে বাড়ি ফিরে সকালের জল ঢালা পান্তা ভাত। লকেট জানান, তিনি দলীয় কর্মীদেরও সুস্থ থাকতে একইভাবে প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
এক্ষত্রে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি একন ভীষণই হালকা খাওয়া-দাওয়া করছেন। প্রচারের ফাঁকে ডাবের জল খাচ্চেন। আর জল তো বেশি করে খাচ্ছেনই। আর তাঁর ভরসা ফল আর সিদ্ধ খাবার। রচনার কথায় মানুষের ভালোবাসাতেই শরীর চাঙ্গা থাকছে।