সদ্য ঘর ভেঙেছে নবনীতার। চার বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন ‘বিয়ের ফুল’ অভিনেত্রী। জিতুর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স নিয়ে গত চার মাস যাবত কম চর্চা হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিচ্ছেদের মাঝেই উঠে এসেছে নবনীতার নতুন সম্পর্কে জড়ানোর গুঞ্জনও। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দুজনে, কিন্তু পারস্পরিক বোঝাপড়া না থাকাতেই নাকি সম্পর্ক টিকলো না। অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন নবনীতা। গত বছর বিজয়া দশমীতে লাল পাড় শাড়িতে সিঁদুর খেলেছিলেন নবনীতা। স্বামী-সোহাগী মেয়েরা উৎসবের এই দিনটায় যেমনটা করে থাকেন আর কী। কিন্তু এবার নবনীতার বিজয়া দশমী বড্ড ম্যাড়মেড়ে।
বিয়ে টেকেনি, তাই আপতত সিঁদুরহীন নবনীতার জীবন। দশমীর দিন মা-কে বরণ করেননি নবনীতা, খেলেননি সিঁদুরও। এখানেই শেষ নয়, কাজের বাইরে ঠাকুরও দেখেননি! বাড়িতেই কেটেছে তাঁর পুজো। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বিশেষ ফটোশ্যুটের মুহূর্ত ভাগ করে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেখানে লাল পাড় শাড়িতে যেন সাক্ষাৎ মা দুর্গা নবনীতা। জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের জেরেই কি মন ভার নবনীতার? টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘এবার পুজোয় আমি কোথাউ যাইনি। পুজো পরিক্রমার কাজ দুটো আগে থেকে স্থির করা ছিল, তাই তখনই বেরিয়েছিলাম। আমি এবার মা দুর্গাকে বরণ করিনি। আমি সিঁদুরও খেলব না। জিতুর জন্যে কিন্তু কিছু নয়। আমি আসলে খুবই ক্লান্ত’।
এরপর নবনীতা জানান নিজের জীবনটা আপাদমস্তক পালটে ফেলেছেন তিনি। আগের কোনও চিহ্নই রাখতে চান না নিজের কাছে। জানান, পুরোনো পোশাক থেকে ফোন সবই এখন তাঁর জীবনে অপ্রাসঙ্গিক। বলেন, ‘ওখান থেকে ফেরার পর থেকে আগের কিছুই ব্যবহার করি না আর।’
পুজোর দিন কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি পোস্ট করেছিলেন নবনীতা। গত বছর পুজোয় তোলা সেই ছবি। সঙ্গে লিখেছিলেন, 'এই বছর তোমাদের ছাড়াই পুজো কাটাতে হবে'। নবনীতার সেই পোস্টই বলে দিচ্ছে অতীতের স্মৃতি আজও আগলে রেখেছেন তিনি।
২০১৯ সালের ৬ মে অগ্নিসাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। আলাপ যদিও হয়েছিল ‘অর্ধাঙ্গিনী’ (২০১৮) ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে। সেইসময় নবনীতাই বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছিল জিতুকে। পর্দার ঈশ্বরী-আয়ুশ প্রেম গড়ায় বাস্তবেও। যার পরিণতি বিয়ে। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। আলাদা হল ছাদ ২০২৩ সালে এসে। চার বছরের বিবাহবার্ষিকীর দেড় মাস পরেই অভিনেত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো.. তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থেকো জিতু কমল।’