বিতর্কে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন। এই বিতর্কের কারণটা এতক্ষণে কমবেশি অনেকেই জেনে গিয়েছেন। রিসেপশনের ভ্যেনুতে লেখা ছিল 'Please! Press And Personal Security And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted'। অর্থাৎ অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম আর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ। আর তাতেই নিরাপত্তারক্ষী, ড্রাইভার, সংবাদমাধ্যমকে অপমান করার, ছোট করার অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই এক শ্রেণীকে এভাবে ছোট করা, অসম্মান করার কারণে বেজায় ক্ষিপ্ত।
এদিকে বিয়ে ও রিসেপশন যাঁর ছিল, সেই কাঞ্চন মল্লিকের প্রথম স্ত্রী এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন। ঠিক কী বলেছেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাস? টিভি9কে অনিন্দিতা বলেন, ‘আমি সমস্ত পেশাকেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করি। আমার কাছে সোজা হিসাবে, যতক্ষণ মানুষ খেটে খাচ্ছেন, ততক্ষণ মানুষটা সম্মানীয়। তিনি কোনও কোম্পানির সিইও হতে পারেন, আবার পাশের বাড়ির হাউজ মেডও হতে পারেন। সৎ পথে রোজগার করে যাঁরা সংসার চালাচ্ছেন, তাঁরা আমার কাছে সম্মানীয়।’
যদিও এই ঘটনায় প্রাক্তন স্বামী কাঞ্চন মল্লিক সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনিন্দিতা। তাঁর একটাই কথা, ‘আমাকে যদি এমন কোনও বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাহলে আমি প্রথমেই জানতে চাইব, কেন এমন অপমানজনক কথা লেখা হয়েছে? তারপরও যদি কোনও লজিক খুঁজে পাই, তবেই বিষয়টি মান্যতা দেব। আর যুক্তি না পেলে, সোজা বাড়ি চলে আসব।’
বুধবার কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর তৃতীয় স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের রিসেপশন ছিল। কাঞ্চনের এই বিয়ের আগে, দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনেকেই জানেন। তবে তারও আগে কাঞ্চন সর্বপ্রথম বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাসকে। বর্তমানে 'তুমি আশেপাশে থাকলে' ধারাবাহিকে নায়িকার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিন্দিতা দাস। টেলিপর্দায় এই মুহূর্তে নিয়মিত অনিন্দিতাকে দেখছেন দর্শক।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন স্বামী কাঞ্চন মল্লিক ৩ নম্বর বিয়েটা করে নিলেও অভিনেত্রী অনিন্দিতা দাস অবশ্য আর বিয়ে করেননি। বাবা-মা আর একটা বিড়াল ছানা-কে নিয়েই সংসার অনিন্দিতার। অনিন্দিতা যখন কাঞ্চনকে বিয়ে করেছিলেন, সেসময় তাঁদের দুজনেরই ছিল অল্প বয়স। তখন কাঞ্চনও যে খুব প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তা নয়। তবে সাড়ে ৭ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল অনিন্দিতা ও কাঞ্চনের। পরে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তবে কোনওদিনই পুরনো সেই বিয়ের কথা টেনে এনে পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে চান নি অনিন্দিতা। সাফ জানিয়ছিলেন, মা-বাবা, পোষ্য আর কাজ নিয়েই সুখী জীবন তাঁর।