গত ৮ বছরে একের পর এক ছবি ফ্লপ। আর এবার কঙ্গনার'তেজস'ও মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর তাই কঙ্গনার হতাশা আসাটাই তো স্বাভাবিক। আর এই হতাশার কথা এবার অকপটে বলেই ফেললেন কঙ্গনা। 'কুইন'-এর পোস্টেই ধরা পড়ল সেকথা।
একের পর এক ফ্লপ, মানসিক অশান্তিতে রয়েছেন। আর তাই মানসিক শান্তি পেতেই গুজরাটের শ্রী দ্বারকাধীশ মন্দিরে ছুটে গেলেন কঙ্গনা। সেকথা প্রসঙ্গেই কঙ্গনা X-(টুইটার)এ লিখেছেন, ‘বেশকিছুদিন ধরেই মন অশান্ত রয়েছে। তখনই আমার মনে হয়েছিল দ্বারকাধীশের দর্শন, শ্রী কৃষ্ণের এই দিব্য নগরী দ্বারকায় আসি। এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এখানকার ধুলো দেখে মনে হল যেন আমার সমস্ত দুশ্চিন্তা আমার পায়ের কাছে ভেঙ্গে পড়ে গেল। আমার মন স্থির হয়ে গেল এবং আমি অসীম আনন্দ অনুভব করলাম। হে দ্বারকার ভগবান, তোমার আশীর্বাদ এভাবেই আমার সঙ্গে রাখো।’
দ্বারকা ভ্রমণের বেশকিছু ছবিও শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। সেখানে নৌকা ভ্রমণে দেখা গেল 'কুইন'কে। নৌকায় বসে উদ্বিগ্ন মুখে, গালে হাত রেখে জলের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেল তাঁকে। এদিন কঙ্গনার পরনে ছিল অফ হোয়াইট রঙের শাড়ি। গলায় চোকার, কানে দুল আর কপালে টিপ, হালকা সাজেই দেখা গেল অভিনেত্রীকে। মন্দিরে ঢুকে শ্রীকৃষ্ণের দর্শন করার ছবিও দিয়েছেন তিনি। সব শেষে লিখেছেন 'হরে কৃষ্ণ'।
আরও পড়ুন-৯০-এর দশকে উদিত নারায়ণ ছিলেন তাঁর শত্রু! মুখ খুললেন কুমার শানু
তবে কঙ্গনার এই পোস্টে তাঁকে ট্রোল করতে ছাড়েননি কিছু নেটনাগরিক। এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ঈশ্বরের কাছে আমার প্রার্থনা উনি আপনাকে কিছুটা বুদ্ধি দিন’। আরও এক ব্যক্তি কটাক্ষ কররে লিখেছেন, ‘পরের ছবিও ফ্লপ হবে, মোদী ভক্তরাও আপনার ছবি দেখেন না।’ কারোর কথায় ‘আপনি কোটি কোটি টাকা নষ্ট করছেন, আপনার এর পরের ফ্লপ কোনটা হতে চলেছে?’ এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে তেজস ধাকড় (২০২২), থালাইভি (২০২১), পাঙ্গা (২০১০) এবং জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া (২০১৯) ছবিগুলিও ফ্লপ ছিল। এছাজাও, কঙ্গনার সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তামিল ছবি চন্দ্রমুখী ২ মাত্র ৪০ কোটি টাকা আয় করেছে, যেখানে ছবির বাজের প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। কঙ্গনার ছবি তেজস মুক্তি পাওয়ার পর গত ১ সপ্তাহে ১০ কোটি টাকাও আয় করতে পারেনি। এদিকে আবার আসতে চলেছে কঙ্গনার নিজের প্রযোজনায়, পরিচালনায় তৈরি ছবি ইমার্জেন্সি। ছবিও সেই ছবির মুক্তি ২০২৪ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।