Kar Kache Koi Moner Kotha Update: শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেও নিজের বাড়িতে গঞ্জনা শুনতে শুনতে অস্থির শিমুল। বন্ধুর কাছে কাজ চাইতে গিয়েও কথা শুনতে হয় তাকে। এবার কী করবে সে?
1/5 শিমুলের মা তাকে জিজ্ঞেস করে সে কেন চলে এল, বা তার শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলবে বলেও জানায়। শিমুল তাকে বলে সে এসব কোনও দরকার নেই। একই সঙ্গে এও বলে যে ওরা ওকে শেষ পর্যন্ত থাকার কথা বলেছিল, পুতুল বলেছিল থেকে যাওয়ার কথা কিন্তু সেই থাকেনি।
2/5 এটা শুনেই তার বড় বৌদি তার উপর চোটপাট করে ওঠে। বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে থাকার কথা বলার পরেও কেন সে থাকেনি? তখন শিমুল তাকে জানায় সে যদি এমন একটা শ্বশুরবাড়ি পেত তখন বুঝত। যে থাকে সেই বোঝে।
3/5 শিমুলের বড় বৌদি একই সঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলে তার মেয়ে এতদিন শিমুলের ঘরে থাকত, পড়ত, নাচ শিখত। এবার কী হবে? আবার সব এক ঘরে করতে হবে। শিমুলের মা তাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় এই বাড়ি তার, তার তিন সন্তানের জন্যই এখানে ঘর বরাদ্দ আছে। তারা এখানেই থাকবে। ছোট বউ কিছু বলতে গেলে বড় বউ তাকে বলে শিমুলের দায়িত্ব নিতে। সে হাসিমুখেই বলে সে নেবে। তার বরকে এই দায়িত্ব নিতে হবে।
4/5 অন্যদিকে বিপাশা, শীর্ষা, সুচরিতা, তুতুল আর তার মা পরাগদের বাড়ি আসে। জানতে চায় শিমুল কোথায়? তাদের রীতিমত এক হাত নেয় মেয়েটাকে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করার জন্য। তাতে পরাগ আর তার মা আবার উল্টো চেঁচায়। বলে এটা তাদের বাড়ি ব্যাপার। কিন্তু ওরা শুনলে তো! সাফ সাফ জানিয়ে দেয় এটা আর বাড়ির ব্যাপার নয়। তারা থানা পুলিশ করবে, পাড়ার লোককে এর মধ্যে জড়াবে। তারপর দেখবে ওদের কী হয়। এতে বেজায় খুশি হয় পুতুল।
5/5 শিমুল তার এক বন্ধুর কাছে যায় যদি তার বাবা কোনও কাজের ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু ওর সেই বন্ধু কাজের বিষয় কথা না বলে পুরনো প্রেমের কথা উসকে দেয়। বলে শতুদ্র ওর পাশে থাকতে পারত, ও দেয়নি। শিমুল তাকে মনে করিয়ে দেয় যে সে নিজেই থাকেনি। থাকলে এসব হতো না। একই সঙ্গে এটাও বলে যদি তার বাবা তাকে কাজ দিতে পারে তবেই যেন জানায় এসব আর না বলে। তার মাঝে মধ্যে এত অপমান সইতে সইতে মনে হয় মেয়ে হয়ে জন্মানোর থেকে মরে যাওয়া ভালো।