আজ করিনা কাপুরের জন্মদিন। বেবো-কে ভালোবাসার মানুষের সংখ্যা কিন্তু মোটেও কম নয়। অনুরাগীরা তো রয়েছেনই, বলিউড তারকাদেরও হট ফেভারিট তিনি। বেবো-র কথা বলার স্টাইল থেকে শুরু করে তাঁর নখরা, বান্ধবীদের গ্যাংয়ের সঙ্গে পার্টি, দুই ছেলে তৈমুর-জাহাঙ্গীর, সবই থাকে চর্চায়। তবে বাইরে থেকে দেখলে করিনাকে যতই ‘নাক উঁচু’ মনে হোক না কেন, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কিন্তু গলায় গলায় ভাব। শাশুড়ি থেকে দুই ননদ, আগের পক্ষের দুই ছেলে-মেয়ে সকলের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক করিনা কাপুর খানের।
২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর করিনা বিয়ে করেছিলেন সইফ আলি খানকে। দুজনের বয়সের ফারাক পাক্কা ১০ বছরের। তবে তা ছাপ ফেলতে পারেনি কেমিস্ট্রিতে। বিয়ের আগে বেশ কয়েকবছর সইফের সঙ্গে লিভ ইনও করেছিলেন করিনা। ২০১১ সালে যখন সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদি মারা যান, তখনও বিয়ে হয়নি সইফ-করিনার। তবুও পতৌদি পরিবারের পাশে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন বেবো সেই কঠিন সময়তে।
এখানেই শেষ নয়, ‘নিকাহ’-র দিন করিনা কিন্তু কোনও ডিজাইনার দামি হাল ফ্যাশনের পোশাক বেছে নেননি। বরং শাশুড়ি শর্মিলার বিয়ের পোশাকই গায়ে তুলেছিলেন। বরাবরই করিনাকে বলতে শোনা যায়, শাশুড়ি শর্মিলা তাঁর অনুপ্রেরণা। ডিএনএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেবো শাশুড়িমা-র প্রশংসা করে একবার বলেছিলেন, ‘আমার চোখে আমার শাশুড়ি চিরকাল বেগম হয়েই থাকবেন। আমি সবসময় তাঁকে অনুসরণ করি।’
দুই ননদ সাবা আর সোহাকেও কিন্তু মাথায় করে রাখেন বেবো। যে কোনও অনুষ্ঠানে চলে যান এখনও পতৌদি বাড়িতে। মুম্বইতে যে কোনও অনুষ্ঠান হলেও আমন্ত্রিতের তালিকায় থাকেন সোহা, কুণাল খেমু ও তাঁদের মেয়ে ইনায়া। দুই ছেলে তৈমুর আর জেহ-কেও ভাইবোনদের সঙ্গে মিশে বড় হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। রাখি হোক বা হোলি, প্রায়ই দেখা যায় খুদেদের পার্টি বসেছে। আর তাতে সামিল হয়েছেন সইফের প্রথম বিয়ের দুই সন্তান সারা আলি খান ও ইব্রাহিম আলি খান। সারা-ইব্রাহিম-তৈমুর-ইনায়া-জেহ প্রায়ই ধরা দেয় এক ফ্রেমে। করিনা গর্ব করে ছবিগুলি শেয়ার করে নেন সামাজিক মাধ্যমে, নেটিজেনরা যা খুব পছন্দও করে।
এক সাক্ষাৎকারে সারা আলি খান জানিয়েছিলেন, সইফকে বিয়ের পর করিনা তাঁদের দুই ভাইবোনকে বলেছিলেন, তাঁদের মা হতে চান না তিনি। কারণ তাঁদের জন্য অমৃতাই সেরা। তবে ভালো বন্ধু হতে পারেন। বন্ধুত্বের সম্পর্কই রাখতে চান করিনা স্বামীর প্রথম পক্ষের দুই সন্তানের সঙ্গে।