দুই সন্তানের নামকরণ নিয়ে নেটিজেনদের ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল করিনা কাপুর খান এবং তাঁর স্বামী সইফ আলি খান-কে।এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন করিনা। ট্রোলারদের পাল্টা দিলেন। 'সইফিনা'-র দুই ছেলের নাম যথাক্রমে তৈমুর এবং জাহাঙ্গির। ছোটটির ডাকনাম জেহ। প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর আলি খান রাখার পরেই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন এই জুটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র আক্ৰমণ, ক্রমাগত কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন তাঁরা। ছোট ছেলে জেহ-এর ছয়মাসের জন্মদিনের আগে নিজের লেখা বই 'দ্য প্রেগন্যান্সি বাইবেল'-এ ছোট ছেলের নাম সবাইকে জানান করিনা।
নেটিজেনদের বিরাট এক অংশের মনে পোক্ত ধারণা হয়েছিল যে কুখ্যাত তুর্কি সম্রাট তৈমুর লং-এর নামেই সইফ-করিনা তাঁদের বড় ছেলে তৈমুরের নামকরণ করেছেন। এক অত্যাচারীর নামে সন্তানের নামকরণ মেনে নিতে পারেনি নেট-নাগরিকরা। অথচ একাধিক সাক্ষাৎকার এবং সংবাদমাধ্যমে বিভিন্নবার এই তারকা-জুটি বলেছিলেন তৈমুর নামের অর্থ ধারালো তরবারি। স্রেফ নামের অর্থটা তাঁদের দারুণ ভালো লেগেছে বলেই নিজেদের ছেলের এহেন নামকরণ করেছেন তাঁরা। এইটুকুই।
তবে তাতে ভাবি ভোলেনি। বছর চারেক পর অর্থাৎ চলতি বছরে 'সইফিনা'-র দ্বিতীয় সন্তানের নামকরণের ঠিক পরে আরও একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। কেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির-এর নামে ছেলের নামকরণ করেছেন তাঁরা সেই নিয়েই নেটিজেনদের একচোট ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল সইফিনাকে। এতদিন সেসব ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেও এবারে ট্রোলারদের উদ্দেশে মুখ খুললেন তৈমুর এবং জাহাঙ্গির-এর 'মাম্মা’।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে করিনা জানিয়েছেন তিনি ভীষণ দুঃখ পেয়েছেন স্রেফ নামের ভিত্তিতে দুই শিশুর উদ্দেশে এমন বীভৎস ও কুরুচিকর ভাষার ব্যবহার দেখে। তবে তার পাশাপাশি ও জানিয়েছেন ব্যাপারটা তাঁকে দুঃখ দিলেও তা বেশিদিনের জন্য ছিল না। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমাদের তো অন্যান্য কাজও রয়েছে। সেখানে শুধু এই ট্রোলিং কিংবা কে কী বললো এসব নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে কেন!