মিষ্টির সন্তানের প্রতি গুনগুনের মাত্রাতিরিক্ত অবসেশনের জেরে একটা সময় প্রায় ভাঙতে বসেছিল সৌজন্য আর গুনগুনের সংসার। এখনও সবকিছু ঠিক নেই এই দম্পতির। গুনগুন আপতত ঘরছাড়া। ড্যাডির সঙ্গে থাকছে সে। গুনগুনের মান ভাঙাতে রীতিমতো ‘বউ ডাকাতি’ করে বসেছিল সৌজন্য। এরপরই মন করেছেন গুনগুনের। কিন্তু ড্যাডিকে এখনই ভয়ে সেই কথা বলতে পারছে না সে। কৌশিকবাবু সৌজন্য ও তাঁর পরিবারের উপর বেজায় চটে আছেন এমনই ধারণা সকলের। অগত্যা লুকিয়ে লুকিয়ে বউয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন সৌজন্য। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে হাজির হয়েছিল রেস্তোরাঁয়। অথচ আচমকাই সেখানে হাজির গুনগুনের ‘ড্যাডির ভুত’। হ্যাঁ, ড্যাডিকে দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যায় গুনগুন, সৌজন্যর সেদিকে হুঁশ নেই, না তাকিয়েই সে বলে বসে, ‘ড্যাডির ভূত দেখেছে, কোথায় ড্যাডি।’ অথচ ছবিটা পরিষ্কার হতেই মনে মনে ঘাবড়ে যায় সে। গুনগুন আর তাঁর ক্রেজিটা মিলে যে কৌশিকবাবুর চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে তা বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছেন তিনি। রেস্তোরাঁয় খাবার অর্ডার করেও ড্যাডিকে দেখে বিল মিটিয়ে না খেয়েই পালায় তাঁরা। সেই খাবার চেটেপুটে খেয়ে আসেন গুনগুনের ড্যাডি।
তবে গুনগুনকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তাঁর ড্যাডি। বাড়ি ফিরে রাতে ডিনার টেবিলে মেয়েকে চেপে ধরেন তিনি, তবে একটু অন্যভাবে। রেস্তোরাঁয় দেখা হয় অদ্ভূত কপলের কথা শোনান তিনি। গুনগুন কথার প্যাঁচে জানতে চায় ওই প্রেমিক জুটিকে তিনি দেখেছেন কিনা। তিনি বলেন,'না, আমি তো শুধু পিছন থেকেই দেখেছি। তবে বেয়ারা বলল মেয়েটা ছেলেটার থেকে অনেক ছোট… কলেজ,ইউনিভার্সিটিতে পড়ে'। সেসব শুনে ঘাবড়ে যায় গুনগুন। বাড়ি ফিরে অবশ্য পটকা অ্যান্ড কোম্পানির সামনে অন্য মূর্তি সৌজন্যের। সে জানায়, ‘আমি গুনগুনের আইনত বিয়ে করা স্বামী, উনি এইভাবে ওকে আটকে রাখতে পারেন না’। অথচ সৌজন্যর পরিবার সাফ জানায়, 'শ্বশুরের সামনে দাঁড়িয়ে তুই এই কথাটা বলতে পারবি?'
পটকা বাবিনকে চাঙ্গা করতে জানায়, ‘তোর বউ কিন্তু হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বাবিন, তুই কিছু একটা কর’। সৌগুনের এই বিয়ে পরবর্তী প্রেমপর্বের পরিণতি কি হবে? সেটা দেখতেই এখন উত্সাহী সকলে। তবে কৌশিক বাবু মনে মনে নতুন কী ফন্দি এঁটেছেন, তাও জানতে উত্সুক দর্শক।