অনুষ্ঠানস্থল সুনীল শেট্টির খান্ডালার বাগানবাড়ি। সেখানেই যত আয়োজন। ডিজাইনার লেহেঙ্গায় বিয়ের সাজে সেজে তখন সাতপাক ঘুরছেন আথিয়া শেট্টি ও কে এল রাহুল। বলিউড ক্রিকেট একাকার হয়ে আবারও একটা প্রেমের গল্প পরিণতি পাচ্ছে। দুরু দুরু বুকে, আবার কিছুটা আনন্দ মনে মেখে নতুন জীবনে প্রবেশ করছেন আথিয়া। ভারতীয় চিরকালীন প্রথা মেনেই বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে তাঁকেও। এদিকে আথিয়া যখন সাতপাক ঘুরছেন সামনে দাঁড়িয়ে বাবা সুনীল শেট্টির চোখে তখন জল।
নাহ, এদিন আর আবেগ বাঁধ মানতে চাইল না সুনীলের। বলিউডের ছবিতে তিনি যতই অ্যাকশন হিরো হন না কেন। এদিন তিনি বাবা। তিল তিল করে বড় করে তোলা ছোট্ট মেয়েটি আজ নববধূর বেশে। নতুন একজনের ঘর সামলাতে চলেছ…। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক অতিথি জানাচ্ছেন মেয়ের বিয়ের সময় কেঁদে ভাসিয়েছেন বলিউডের 'আন্না' সুনীল। যে অনুভূতির কথা হয়ত শুধুমাত্র মেয়ের বাবারাই বুঝতে পারবেন…। আবার বিয়ে শেষ হতেই নিজেকে সামলে নিয়ে পাপারাৎজির মুখোমুখি হয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি এখন থেকে কে এল রাহুলের অফিশিয়াল শ্বশুরমশাই।
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওই ব্যক্তি আরও জানান, সুনীল শেট্টি মেয়ের বিয়ে নিয়ে ভীষণই ব্যস্ত ছিলেন। তিনিই সবকিছুর যত্ন নিয়েছেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে শুরু করে সংববাদমাধ্যম, সবটাই সামলেছেন। ‘তিনি নিজেই সবকিছু দেখাশোনা করেছেন এবং উপস্থিত সকলে যাতে স্বচ্ছন্দে থাকেন, তাঁদের ঠিকমতো যত্ন নেওয়া হয় তার খেয়াল রেখেছেন। একদিকে বাবার দায়িত্বও সামলেছেন আবার অন্যদিতে তিনি একজন নিখুঁত হোস্টের ভূমিকাও পালন করেছেন।’
জানা যাচ্ছে অনামিকা খান্নার ডিজাইনার লেহেঙ্গায় সেজে দক্ষিণ ভারতীয় রীতি মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন আথিয়া ও রাহুল। সোমবার নিজেদের বিয়ের ছবি শেয়ার করে দম্পতি লিখেছিলেন, ‘তোমার আলোয় আমি ভালোবাসতে শিখেছি। আজ আমাদের প্রিয়জনদের উপস্থিতিতে আমরা বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়লাম সেই বাড়িতে যে বাড়িটা আমাদের খুব আনন্দ আর শান্তি দিয়েছে। হৃদয় ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় ভরপুর। আমরা সকলের আর্শীবাদ চাইছি এই নতুন যাত্রাপথে।’
আথিয়ার বিয়ের লেহেঙ্গা ডিজাইন করেছিলেন অনামিকা খান্না। পুরোটাই হাতে বোনা এবং সিল্কের উপরে জরদৌসি ও জালির কাজ তাতে। লেহেঙ্গার সঙ্গে ছিল একটি ভেইল আর ওড়না যা অরগ্যাঞ্জা দিয়ে তৈরি। এতেও রয়েছে সূক্ষ্ম হাতের কাজ। ভোগের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অনামিকা জানিয়েছেন এটি তৈরি করতে ১০ হাজার ঘণ্টা লেগেছে।