1/5 ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্বেতা ভট্টাচার্য। একটি ডান্স রিয়েলিটি শো থেকে প্রথমে নজরে আসেন। ২০১০ সাল থেকে কাজ করছেন ছোট পর্দায়। ২০২২ সালে বড় পর্দাতেও পা রেখেছেন। দেবের প্রজাপতি সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছে। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড তাঁকে খ্যাতি দিলেও বড় হয়েছেন অনেক অভাব অনটনের মধ্যে। যদিও সেই সময়তেও তাঁকে আগলে রাখবেন মা-বাবা।
2/5 আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্বেতাকে বলতে শোনা যায়, ছোটবেলায় এমন দিন গিয়েছে যখন নুন-ভাত খেয়েছি। খুদ খেয়ে উঠে গিয়েছি। কিন্তু মা-বাবার মুখ চেয়ে কখনোই কিছু বলতে পারিনি।
3/5 ছোটবেলার একটি ঘটনাও শেয়ার করে নেন শ্বেতা। জানান, মা-বাবার সঙ্গে জুতো কিনতে গিয়েছিলেন। একটা জুতো দেখেই পছন্দ হয়ে যায় তাঁর। পায়ের মাপে সেটি হওয়ায় জুতো পরে ঘুরেও বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময়ই নজরে যায় বাবার দিকে। দেখেন বাবা ইঙ্গিত দিয়ে মা-কে বলছে, এত টাকা নেই তার কাছে। ঐর ছোট্ট শ্বেতা নিমেষে বুঝে যান সবটা। পায়ের থেকে জুতো খুলে বলেছিলেন, আর ভালো লাগছে না তাঁর এই জুতোটা।
4/5 শ্বেতা আরও জানান, ছোটবেলা তাঁর এক বান্ধবী ছিল তাঁর। নাম মানালি। আর সেই বন্ধুর অবস্থা ছিল বেশ স্বচ্ছল। এমনকী, ওই বাড়িতে গেলে তাঁর মনে হত সেই বাড়র বাথরুমও মাপে তাঁদের ঘরের থেকে বড়। এখন যদিও বড় হওয়ার পর বুঝতে পারেন, মানালির বাড়িতে সবটাই ছিল খুব স্বাভাবিক।
5/5 বিনোদন দুনিয়ার কাজে ওঠাপড়া তো থাকবেই। দীর্ঘসময় হাতে কাজ না থাকার কথাও ভাগ করে নিলেন তিনি। শ্বেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার গত ৭টা ধারাবাহিক ভালো চলেছে, অষ্টম ধারাবাহিক ভালো ফল দেয়নি। এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন মাসের পর মাস অপেক্ষা করেছি মনের মতো কাজের জন্য। একবার ৯ মাস, একবার ১ বছর বসে থেকেছি। অনেক সময় কাজ পছন্দ না হওয়ায় মানাও করে দিয়েছি। কাজ না থাকলে আমি ককোই ভালো থাকব না। আমি ইশ্বরে বিশ্বাসী। আমি মনে করি ভালো কাজ পেলেই, ভালো ফল আসবে।’