১৮ নভেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে জিৎ চক্রবর্তী পরিচালিত 'কথামৃত'। ছবিতে মুখ্য অভিনয় করেছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং অপরাজিতা আঢ্য। জালান প্রোডাকশনের ব্যানারে, এক অব্যক্ত দাম্পত্যের গল্প ফুটে উঠবে ছবিতে।
এই ছবির বুননে ‘কথা’র একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। না বলতে পারা কথার আড়ালে আসল অনুভূতিটাই জীবন্ত। ‘কথামৃত’র গল্প মূলত সনাতন ও সুলেখাকে কেন্দ্র করে। ছবিতে সনাতন হলেন কৌশিক আর সুলেখার চরিত্রে অপরাজিতা আঢ্য।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে আড্ডায় পরিচালক জিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘আসলে কথামৃত খুব অদ্ভুত শব্দ। যদি শব্দটাকে মাঝখান থেকে কেটে দিই তাহলে কথা-মৃত, আবার জুড়ে দিলে অমৃত। অনেকটা সম্পর্কের মতো। সম্পর্কে দূরে সরিয়ে দিলে অনেক কিছু অমৃত হয়, সম্পর্ক আবার মৃতও হয়ে যায়। আমাদের জীবনে কথা বলতে তো আসলে পয়সা লাগে না। কথা আমরা ভেবেও বলি না। কথা বলতে হয় বলি। কিন্তু মানুষের জীবনে কথার একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে, সম্পর্কে, সমাজেও। সেইটা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, আবার মিষ্টিও হতে পারে, এটাই কথামৃত বোঝাবে, বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা।’
‘আমাদের যে হিরো কৌশক গঙ্গোপাধ্যায়, সে কথাই বলতে পারে না। কৌশক গঙ্গোপাধ্যায় যে চরিত্র পাঠ করছেন নাম সনাতন। মিষ্টি, সাধারণ ছবি, পাড়ার ছবি, আমাদের সমস্ত চেনা মানুষেরই ছবি.. কিন্তু এরই মধ্যে কিছু টুইস্ট রয়েছে যেটা ১৮ নভেম্বর দর্শক দেখতে পাবে।’
আরও পড়ুন: দাম্পত্য সুখের হয় কার গুণে? উত্তর দিতে পারবেন কৌশিক আর অপরাজিতা? জানাবে ‘কথামৃত’
ছবির ভাবনাটা কোথায় থেকে এসেছে? এ প্রসঙ্গে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ পরিচালক। তবে জিৎ-এর কথায়, ‘ভাবনাটা প্রথম আমার মাথায় একটা ঘটনা থেকে আসে। যেটা এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। সেটা ছবি মুক্তির পর বলতে পারব। এটা আমি যখন লেখককে বলি, সে নিজেও খুব উচ্ছ্বসিত হয়। তারপর দুজনে মিলে আস্তে আস্তে এগোই। পুরোটাই ও লেখে। বাকিটা প্রযোজকের সঙ্গে কথাবার্তা, কাস্টিং হয়… আশা করি ১৮ নভেম্বর ছবি যখন প্রেক্ষাগৃহে আসবে দর্শকেরও খুব ভালো লাগবে।’
ছবির ঘিরে প্রচুর প্রত্যাশা রয়েছে কথামৃত টিমের। পরিচালক বলেছেন, ‘১৮ নভেম্বর দর্শকের নিকটবর্তী সিনেমাহলে আসছে কথামৃত। আপনারা সিনেমাটা দেখুন। ভালো লাগুক, খারাপ লাগুক যাই লাগুক সেই নিয়ে দু-কথা বলুন। সেই কথাই আমাদের কাছে অমৃতের মতো হয়ে আসবে। কথামৃত-র সবথেকে অনন্য জিনিস হচ্ছে ‘সরলতা’, সেটাকে উপভোগ করুন।'