শুক্রবার সকালে বৃষ্টিভেজা দিনে মিমি চক্রবর্তী বলছেন, ‘আমার পরাণ যাহা চায়..তুমি তাই,তুমি তাই গো’। টলিগঞ্জের এই সুন্দরী নায়িকা নিজের গান দিয়ে বহু আগেই দর্শকদের মন ভিজিয়েছেন তবে রবি ঠাকুরের গান এই প্রথম। সোমবারই এই গানের শ্যুটিং সেরেছিলেন মিমি, আর নির্ধারিত দিনেই প্রকাশ্যে এল মিমির নতুন সিঙ্গলস, ‘আমার পরাণ যাহা চায়'।
মিমির কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান নিঃসন্দেহে নস্ট্যালজিক করে তুলেছে বাঙালিকে। স্মৃতির সরণি বেয়ে মিমিও ফিরে গিয়েছেন এক দশক আগে 'গানের ওপারে'র দিনগুলোতে। এই ধারাবাহিকের সঙ্গেই আক্ষরিক অর্থে মিমির অভিনয় সফর শুরু, রবির গানই ছিল পুপের( মিমির চরিত্রের নাম) প্রাণ। তাই নিজের মতো করে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধার্ঘ জানাল পুপে। এই ব্যাপারে মিমি জানালেন, গত বছর যখন আনজানা রিলিজ করল তখনও আমাকে মানুষজন অনুরোধ করেছিল একটা বাংলা গান গাইতে। মার্চে লকডাউন শুরু হল, আর টেলিভিশনে গানের ওপারের পুনঃসম্প্রচারও শুরু হল। আমি সেইসময় কোনওদিন টিভিতে গানের ওপারে দেখার সুযোগ পাইনি।তবে মানুষ এখনও পুপেকে এত ভালোবাসে সেটা দেখে আমি সত্যি অবাক। তাই হঠাত্ই একদিন ভাবলাম পুপেকে আমার মতো করে ফিরিয়ে আনি'।
কেন আমারও পরাণ যাহাকেই বাছলেন মিমি? শিল্পী জানালেন, এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের আইপ্যাডে গানটা রেকর্ড করে ডাব্বুকে (সঙ্গীত পরিচালক) পাঠালাম, ও বলল আমাদের এটা নিয়ে কাজ করা উচিত,ব্যাস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম এই গানটা দর্শকদের উপহার দেওয়ার। আমি শুরু থেকেই ঠিক করেছিলাম বিশেষ কোনও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করব না গানে, খুব সিম্পল রাখবার চেষ্টা করেছি'।
গানের ভিডিয়োয় কালো সিফন শাড়ি আর জাঙ্ক জুলেয়ারিতে অপূর্ব লাগল মিমিকে। কলকাতার 'সেফজোন' রাজারহাটে এই ভিডিয়োর শ্যুটিং সেরেছেন মিমি। রবীন্দ্রনাথের এই গানের অ্যারেঞ্জমেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন ডাব্বু।
রবীন্দ্রনাথের এই গান নিজের মেন্টর ঋতুপর্ণ ঘোষকে উত্সর্গ করলেন মিমি। জানালেন, এই গানটা অবশ্যই রবীন্দ্রনাথের প্রতি, আমার প্রিয় দর্শকদের প্রতি আর অবশ্যই আমার গুরু,আমার মেন্টর ঋতু দা'কে (ঋতুপর্ণ ঘোষ) উত্সর্গ করতে চাই'।
এই প্রয়াস দর্শকদের ভালোলাগবে আশাবাদী এই নায়িকা তথা গায়িকা। কিন্তু প্রশিক্ষিত গায়িকা না হওয়ায় কোনরকম ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমাও চেয়ে রেখেছেন মিমি চক্রবর্তী।