বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Adrit Roy: ফিরছেন উচ্ছেবাবু! ব্যর্থতা ভুলে বড় পর্দায় নতুন ইনিংস আদৃতের, নায়িকা কে?

Adrit Roy: ফিরছেন উচ্ছেবাবু! ব্যর্থতা ভুলে বড় পর্দায় নতুন ইনিংস আদৃতের, নায়িকা কে?

আদৃতের কামব্যাক 

Adrit Roy: সোশ্যাল মিডিয়ায় নামমাত্র উপস্থিতি তাঁর। ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে চর্চা অঢেল। কিন্তু কোনওকিছুই বিচলিত করে না তাঁকে, খবর আদৃত নাকি এবার নতুন শুরু করছেন! 

মিঠাই শেষ হয়েছে তিন মাস আগে! সিরিয়াল শেষ হওয়ার আগেই সুখবর দিয়েছিলেন মিঠাইরানি। সৌমিতৃষা আপতত ব্য়স্ত নিজের প্রথম ছবির শ্যুটিংয়ে। সৌমিতৃষার পর এবার কি সুখবর দিতে চলেছেন আদৃত? টলিপাড়ার অন্দরে জল্পনা তেমনই। 

সিদ্ধার্থ মোদক হিসাবে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা আদৃতের। দেশের সীমারেখা পার করে প্রতিবেশী বাংলাদেশেও তাঁকে নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। সিডি বয়-এর ম্যাজিকে এখনও বুঁদ তরুণীরা। মিঠাই-সিদ্ধার্থ জুটি এখনও তাঁদের মনের মণিকোঠায় সযত্নে সাজানো রয়েছে। মিঠাই শেষ হওয়ার পর থেকেই দিন গুণছে ভক্তরা, কবে পর্দায় ফিরবেন তাঁদের প্রিয় নায়ক! এবার সামনে এল নতুন তথ্য। বড় পর্দায় নাকি নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন আদৃত। 

ছোটপর্দার সুবাদেই আদৃতের পরিচিতি, যদিও তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বড়পর্দাতে। ২০১৮ সালে রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় তৈরি ‘নূর জাহান’ ছবিতে নূরের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আদৃতের। ঝাঁকড়া চুলের আদৃতের সুমধুর কন্ঠ মনে ধরেছিল অনেকের, তবে ছবি চলেনি। এরপর পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের ‘প্রেম আমার ২’-তেও কাজ করেন আদৃত। রাজ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ আদৃত কাজ করেছেন দেবের পাসওয়ার্ড ছবিতেও। ‘পরিণীতা’তেও শুভশ্রীর অফিস কলিগের চরিত্রে দর্শক দেখেছে তাঁকে। কিন্তু সেই অর্থে স্টার তকমা পাননি তিনি। বক্স অফিসের ফ্লপ হিরো ছোটপর্দার হার্টথ্রব নায়কে পরিণত হন। সেই সাফল্যের পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন আদৃত। 

খবর, কামব্যাক ছবি হিসাবে বাণিজ্যিক ছবিই বেছে নিয়েছেন আদৃত। পরিচালক অভিরূপ ঘোষের ‘পাগল প্রেমী’র হাত ধরে নাকি কামব্যাক হবে আদৃতের, খবর আনন্দবাজার সূত্রের। প্রযোজনার দায়িত্বে এসভিএফ। এর আগে ‘কে: সিক্রেট আই’, ‘ব্রহ্মদৈত্য’-র মতো ছবি পরিচালনা করেছেন অভিরূপ, এর মাঝেই ‘পাগল প্রেমী’ আদৃতকে নিয়ে হাজির হবেন তিনি। এই ব্যাপারে জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে আদৃতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে নায়কের ফোন বেজে গিয়েছে। ফোনে অধরা পরিচালকও। ছবিতে কে হবেন আদৃতের নায়িকা? তা এখনও চূড়ান্ত নয়, সৌমিতৃষা-আদৃতের রসায়নকে টেক্কা দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং তা ভালোভাবেই জানেন নির্মাতারা। 

নিজের ব্যর্থ ফিল্মি কেরিয়ার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মাসখানেক আগে আদৃত টিভি নাইন বাংলাকে জানান- ‘আমি আগে ৫-৬টা সিনেমা করেছি। কিন্তু কোনও ছবি সেভাবে কাজ করেনি। কেউ আসেনি জানতো থিয়েটারে ওই ছবি দেখতে।’ এরপর আদৃত যোগ করেন, একদিন সকালে তাঁর এক বন্ধুর ফোন আসে। আদৃতকে সে সটান বলে, ‘দর্শক তোমার ছবি দেখতে থিয়েটারে আসছে না। এক কাজ করো তুমিই তাদের ঘরে পৌঁছে যাও, জি বাংলা জয়েন করো’। ভেবেচিন্তে বন্ধুর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছিলেন আদৃত। আর সেই ফোনই বদলে দিয়েছিল তাঁর জীবন। 

 

 

বন্ধ করুন