বক্স অফিসে সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি, ফিল্ম সমালোচক এবং সিনেমাপ্রেমীদের প্রশংসা পেয়েছে নন্দিতা দাস পরিচালিত ছবি 'জুইগাটো'। এবার অস্কার লাইব্রেরিতে জায়গা করে নিল নন্দিতা দাসের 'জুইগাটো'। এই খুশির খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালক নন্দিতা দাস নিজেই।
নন্দিতা টুইটারে লেখেন, ‘অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচারের লাইব্রেরি থেকে তাঁদের স্থায়ী সংগ্রহের জন্য Zwigato-এর চিত্রনাট্য চেয়ে একটি ইমেল করেছিল, যেটা পেয়ে আমি সবথেকে বেশি অবাক হয়েছিলাম৷ গল্প যখন নিজস্ব প্রেক্ষাপটে নিহিত থাকে, তখনই তারা সংস্কৃতিকে অতিক্রম করে এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রের অংশ হয়ে যায়। খুশি!’
আরও পড়ুন-কিশোরী বয়সে রাজ কাপুরের সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয়ে অস্বস্তিতে পড়েন হেমা মালিনীর
‘ও আমায় ঠকিয়েছে’, প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে সুচিত্রার হাজারো অভিযোগে মুখ খুললেন শেখর
আরও পড়ুন-ব্যবসার হাল খারাপ, সত্যপ্রেম কি কথা’র পথ চলায় ইতি! এরই মাঝে নতুন শুরু কার্তিকের
নন্দিতা দাস জানিয়েছেন মার্গারেট হেরিক লাইব্রেরিতে জায়গা করে নিয়েছে তাঁদের এই ছবি। কপিল শর্মা অভিনীত 'জুইগাটো' ছবিটি তৈরি সাধারণ ডেলিভারি বয়ের জীবনকে কেন্দ্র করে। আর সেই ছবিই জিতে নিয়েছে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মন। প্রেক্ষাগৃহে বিশেষ সাফল্য না পেলেও নন্দিতা দাস আশা করেছেন খুব শীঘ্রই তাঁর ছবি OTT-তে জায়গা করে নেবে। আর তাতে এই ছবি আরও অনেক দর্শক দেখতে পারবেন।
তবে 'জুইগাটো'-এ প্রথম নয়, এর আগে অস্কার লাইব্রেরিতে জায়গা করে নিয়েছে বহু ভারতীয় ছবি। এর মধ্যে প্রথমেই বলতে ১৯৫৭ সালে মেহবুব খান পরিচালিত 'মাদার ইন্ডিয়া' ছবির কথা। সেটিও অস্কার লাইব্রেরিতে রাখা রয়েছে। মায়ের কষ্ট, যন্ত্রণা, আত্মত্যাগের কাহিনীতে নজর কেড়েছিল সেই ছবি। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া মীরা নায়ারের 'সালাম বম্বে' ছবিটিও রয়েছে অস্কারের সংগ্রহশালায়। পরের দিকে ২০০১-এ 'লগান, ২০০২-এ 'দেবদাস', ২০০৭-এ 'চাক দে ইন্ডিয়া', ২০০৮-এ 'রক অন', ২০১০-এ 'রাজনীতি' ও 'গুজারিশ' সহ আরও অনেক ভারতীয় ছবিই রয়েছে অস্কার লাইব্রেরিতে।